ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

শোভন-ময়ূখকে গণধোলায়ের কারণ ফাঁস করলেন জনতা

২০২৫ মে ১৬ ১৫:৫৮:১২
শোভন-ময়ূখকে গণধোলায়ের কারণ ফাঁস করলেন জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক উত্তেজনার মধ্যে দুই বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব—বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ—নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির একাধিক স্থানীয় গণমাধ্যম। পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে চলমান জনরোষ ও গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ দুই ব্যক্তির ওপর হামলা ও গণধোলাইয়ের ঘটনাও আলোচনায় উঠে এসেছে।

ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলিম উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। কাশ্মীর পরিস্থিতি ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে উত্তেজনাকর অবস্থান ঘিরে দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

বিজেপির কিছু নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং ইসলামবিদ্বেষী প্রচার, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক, জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, কাশ্মীর হামলার পর শুভেন্দু অধিকারী এক বক্তব্যে “২৬০টি মুসলমান লাশ” চাওয়ার মতো উগ্র মন্তব্য করেন, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। অন্যদিকে রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ ইসলামোফোবিয়া ও বাংলাদেশবিরোধী উস্কানিমূলক প্রচারে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশে এ দুই ব্যক্তিত্বের কর্মকাণ্ডও সমালোচিত হয়েছে। ময়ূখ রঞ্জন বাংলাদেশ সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য, ভুয়া তথ্য এবং বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন, যার ফলে তাকে অনেকেই ‘মলম বিক্রেতা’ বলে ব্যঙ্গ করেন।

গণমাধ্যম সূত্রগুলো দাবি করেছে, ভারতীয় জনতার একাংশ শুভেন্দু অধিকারী ও ময়ূখ রঞ্জনের ওপর ‘গণধোলাই’ দেয় এবং তারা নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের রাজ্যগুলোতে তাদের অনুসন্ধান চলছে বলে দাবি করেছে প্রতিবেদনগুলো।

ময়ূখ ও শুভেন্দুর বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশি রোগী ও পণ্যের প্রবাহ হ্রাস পায়, যা পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত নেতাদের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন বলে জানানো হয়।

এখনো পর্যন্ত ভারত সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এসব ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছেন।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে