ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

৫ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৮:৫৩:৩২
৫ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জোসিতা ইসলাম এ আদেশ দেন।

সন্ধ্যার আগে উত্তরা থানা-পুলিশ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।

সন্ধ্যার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আনিস আলমগীরকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাঁর পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোরশেদ শাহীনসহ একাধিক আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি ওমর ফারুকী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি জিম থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল আনিস আলমগীরকে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়।

আটকের পর ওই রাতেই আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ অভিযোগটি দায়ের করেন। মামলার অপর দুই অভিযুক্ত হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা দেশে থেকেই রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। অভিযুক্তরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে, যার ফলে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ড বাড়ছে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে