ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতি: ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৬:৪৯:৩০
হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতি: ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পাবনা শাখায় এক নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি বড় মামলা দায়ের করেছে। নাবিল গ্রুপের এক কর্মচারীর নামে কাগজে-কলমে ‘জামান সিন্ডিকেট’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে ওই অর্থ বিতরণ ও আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক সূত্র জানায়, অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘন এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে ‘জামান সিন্ডিকেট’-এর অনুকূলে এক হাজার ৪৫ কোটি টাকার বাই-মুরাবাহা টিআর বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন ও সুপারিশ করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭৮ টাকা বিতরণ করে আত্মসাৎ করা হয়। অর্থের প্রকৃত উৎস গোপন রাখতে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগও আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে এস আলম গ্রুপের মালিক ও এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ সাইফুল আলমের পাশাপাশি তার ভাই এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের মালিক সহিদুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার মো. আব্দুল্লাহ হাসানের নাম রয়েছে। একই সঙ্গে সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের এমডি মিশকাত আহমেদ ও চেয়ারম্যান শাহানা ফেরদৌসকেও আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া নাবিল গ্রুপের এমডি মো. আমিনুল ইসলাম, মেডিগ্রিন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এমডি মুবিন আহমেদ এবং জামান সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান রোকুনুজ্জামান মিঠুর নামও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির যেসব সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা মামলার আসামি হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মাওলা, পাবনা শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোহা. শাহজাহান, সাবেক এভিপি মো. আব্দুল আওয়াল, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোকলেসুর রহমান, জোনাল হেড মো. মিজানুর রহমান মিজি, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।

এছাড়া ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি, এসইভিপি, ইভিপি, এভিপি, ভিপি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, ড. তানভীর আহম্মদ, মো. কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর এবং প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলমের নামও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে