ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

যে ফাইভ পিলার রুল বদলে দেয় মেসির জীবন

২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১০:৫৯:৩৫
যে ফাইভ পিলার রুল বদলে দেয় মেসির জীবন

স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবল মাঠে জাদুকরী পারফরম্যান্সের জন্য যিনি পরিচিত, সেই লিওনেল মেসি কেবল প্রতিভার ওপর ভর করেই সেরা নন। তার সাফল্যের আড়ালে রয়েছে নিখুঁত ফিটনেস, কঠোর নিয়মে বাঁধা জীবনযাপন এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। নিজেকে বছরের পর বছর শীর্ষ পর্যায়ে ধরে রাখতে মেসি অনুসরণ করেন একটি নির্দিষ্ট ফিটনেস দর্শন—যা ‘ফাইভ পিলার রুল’ নামে পরিচিত। এর মূল শক্তি একটাই, অবিচল শৃঙ্খলা।

এই শৃঙ্খলার বীজ বোনা হয়েছিল বহু আগেই। কিশোর বয়সে বার্সেলোনার লা মাসিয়া অ্যাকাডেমিতে থাকার সময় থেকেই নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সঙ্গে পরিচিত হন মেসি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অভ্যাস আরও পরিণত ও কঠোর হয়েছে। শরীরকে সুস্থ রাখা, চোট এড়িয়ে চলা এবং দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য—আর সে কারণেই তার ডায়েট ও দৈনন্দিন রুটিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহলের শেষ নেই।

ইএসপিএন ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩–১৪ মৌসুমে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না পাওয়ার পর নিজের উন্নতির দিকে নতুন করে নজর দেন মেসি। প্রথম ধাক্কাটা আসে খাবারের টেবিলে। এক মার্কিন টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, ছোট বয়সে তার খাদ্যাভ্যাস ছিল বেশ অগোছালো। নিয়মিত চকোলেট, বিস্কুট ও কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাস ছিল, যা তার শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও অস্বস্তি তৈরি করত।

এই পরিবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন ইতালিয়ান পুষ্টিবিদ জিওলিয়ানো পোসার। ২০১৪ সালে তিনি মেসিকে এমন একটি ডায়েট পরিকল্পনা দেন, যা সহজ কিন্তু কার্যকর। বিলাসী খাদ্যতালিকা নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও নিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি। সেখান থেকেই মেসির খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নেয় ‘ফাইভ পিলার রুল’—জল, অলিভ অয়েল, গোটা শস্য, ফল এবং সবজি।

বর্তমান ডায়েট সম্পর্কে মেসি নিজেই জানান, এখন তিনি খাবার নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। নিয়মিত মাছ, মাংস, সবজি ও স্যালাড খান। মাঝেমধ্যে এক গ্লাস ওয়াইনও উপভোগ করেন, তবে সেটাও নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে। তার মতে, ভারসাম্যই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি।

মেসির ওয়ার্কআউট রুটিন

অতিরিক্ত পেশিবহুল শরীর গড়ার চেয়ে ফ্লেক্সিবল ও ব্যালান্সড ফিটনেসকেই বেশি গুরুত্ব দেন মেসি। তাই ভারী ওজন তোলার বদলে তার অনুশীলনে থাকে স্ট্রেংথ ট্রেনিং, স্ট্রেচিং এবং পেশির গতিশীলতা বাড়ানোর ব্যায়াম। পাশাপাশি স্পিড ট্রেনিং, দ্রুত স্প্রিন্ট এবং হার্ডল অনুশীলন তার দৈনন্দিন রুটিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সব মিলিয়ে বলা যায়, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আর শৃঙ্খলাবদ্ধ অনুশীলনের নিখুঁত সমন্বয়ই মেসিকে ফিটনেসের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। অফ-সিজনেও এই রুটিনে খুব বেশি পরিবর্তন আসে না—আর সেখানেই লুকিয়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বের সেরাদের তালিকায় থাকার আসল রহস্য।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

খেলাধুলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধুলা - এর সব খবর



রে