ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে সম্পদের মূল্য রেকর্ড সর্বোচ্চে

২০২৪ মে ২১ ১১:৩৭:৫১
যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে সম্পদের মূল্য রেকর্ড সর্বোচ্চে

প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে বন্ধকী ঋণের সুদহার দীর্ঘ সময় ধরে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। তা সত্বেও স্থানীয় আবাসন খাতে সম্পদের গড় মূল্য রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বৃহত্তম প্রপ্রার্টি ওয়েবসাইট রাইটমুভ।

প্রপ্রার্টি ওয়েবসাইট রাইটমুভের প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, চলতি মে মাসে যুক্তরাজ্যে বাড়ির গড় মূল্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৩১ পাউন্ডে পৌঁছেছে। নতুন প্রপ্রার্টির মূল্য এপ্রিলের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বা ২ হাজার ৮০৭ পাউন্ড বেড়েছে।

রাইটমুভের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি ছিল। যারা গত বছর বাড়ি কেনার পরিকল্পনা থেকে বিরত ছিলেন তাদের অনেকেই হাউজিং মার্কেটে চাহিদা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছেন। এই সময়ে বাজারে নতুন ক্রেতা বেড়েছে।

মে মাস সাধারণত ইউকে হাউজিং মার্কেটে দাম বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী মাস। আর গত ২২ বছরে বাড়ির দাম বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। রাইটমুভ আশা করছে এই বছর যুক্তরাজ্যে প্রায় ১১ লাখ বাড়ি বিক্রি হবে। তবে বাড়ি বিক্রির পর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়, যা এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে গড়ে সাত মাসের বেশি সময় লাগে।

ইউকে হাউজিং মার্কেটে বিদেশী বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে লন্ডনের অভিজাত এলাকাগুলো সবসময়ই ধনী বিদেশী ক্রেতাদের নজরে পড়ে। তবে, কিছু বিদেশি এই বাড়িগুলি কেনার জন্য অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে বলে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ও সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইউকের রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলো স্থানীয়দের কাছে ‘প্রাইম সেন্ট্রাল লন্ডন’ নামে পরিচিত। এসব সম্পত্তির মালিকানাকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এই কারণে এসব এলাকায় ব্রিটিশদের পাশাপাশি বিদেশিদের পদচারণাও বাড়ছে। এই অঞ্চলের সম্পত্তি বাজারের ৪০ শতাংশেরও বেশি বিদেশিরা।

ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান দ্য সেন্টার ফর পাবলিক ডাটার পর্যবেক্ষণ হলো প্রপার্টি বাজারে সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধির বড় একটি কারণ বিদেশী ক্রেতার বৃদ্ধি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১০ সালের পর দেশটিতে বিদেশের ঠিকানায় নিবন্ধিত প্রপার্টির সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম একাডেমি (এফসিএ) সম্প্রতি ‘মানি লন্ডারিং থ্রো রিয়েল এস্টেট ইন ইউকে’ নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেটের মাধ্যমে অর্থপাচারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা থেকে ধারণা করা যায়, অর্থপাচার বিরোধী আইন উপেক্ষিত হচ্ছে।

এফসিএ’র প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে সম্ভাব্য নগদ লেনদেন ১৮ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে। কিন্তু এই পরিসংখ্যান এখন জালিয়াতির তুলনায় নগণ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির জন্য বিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়।

লন্ডনের অভিজাত এলাকার বাড়িগুলো ক্রেতাদের পরিচয় এবং সম্পদের উৎস গোপন রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা, সরকারি আমলা ও ব্যবসায়ীরা এসব এলাকায় অবৈধভাবে বিনিয়োগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি লন্ডনের কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি জব্দ করেছে। ২০২০ সালে একজন পাকিস্তানি টাইকুন ৫ কোটি পাউন্ড মূল্যের একটি হাইড পার্ক বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে।

শেয়ারনিউজ, ২১ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে