ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

কোরআনের ভুল ধরতে চেয়েছিলেন তিনি, অতঃপর.... 

২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১৭:২৮:০২
কোরআনের ভুল ধরতে চেয়েছিলেন তিনি, অতঃপর.... 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ডক্টর গ্যারি মিলার ইসলামকে ভুল প্রমাণ করার জন্য পবিত্র কোরআন নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল, ১৪০০ বছর আগের কোরআনে ব্যাকরণগত, ঐতিহাসিক ও গাণিতিক অনেক ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যাবে। তিনি ভেবেছিলেন, এই ত্রুটিগুলো মুসলমানদের কুপোকাত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন। কিন্তু তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।

ডক্টর মিলার তার গবেষণায় যা আবিষ্কার করেন:

কোরআনের নির্ভুলতা: ডক্টর মিলার এমন কোনো ত্রুটি খুঁজে পাননি যা দিয়ে কোরআনকে ভুল প্রমাণ করা যায়। তিনি আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, কোরআনে নিজেই দাবি করা হচ্ছে যে এটি এমন এক কিতাব যেখানে কোনো সন্দেহ নেই এবং এটি মুত্তাকীদের জন্য পথনির্দেশক।

কোরআনের চ্যালেঞ্জ: ডক্টর মিলার দেখলেন, কোরআন নিজেই তাকে চ্যালেঞ্জ করছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, "তারা কি কোরআন নিয়ে চিন্তা করে না? এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে হতো তবে তারা অবশ্যই এতে অনেক অসঙ্গতি দেখতে পেত।" (সূরা নিসা, আয়াত ৮২)।

মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যক্তিগত জীবনের অনুপস্থিতি: ডক্টর মিলার লক্ষ্য করেন যে, সম্পূর্ণ কোরআনে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায় কিছুই লেখা নেই। অথচ, যদি কোরআন মুহাম্মদ (সা.) এর লেখা হতো, তবে এতে তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো থাকত।

মরিয়ম (আ.)-এর সম্মান: ডক্টর মিলার আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করেন। বাইবেলে ঈসা (আ.) এর মা মারিয়াম (আ.)-কে "মাদার মেরি" বলা হয়েছে এবং তাকে অত্যন্ত সম্মানিত একজন নারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু কোরআন মরিয়ম (আ.)-এর সম্মানের ক্ষেত্রে বাইবেলকেও ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে মুহাম্মদ (সা.) এর মেয়ে ফাতিমা (রা.) বা তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) এর কথা কোরআনে একবারও নেই, সেখানে মরিয়ম (আ.)-এর নাম কোরআনে ৩৪ বার এসেছে। শুধু তাই নয়, তার নামে একটি সম্পূর্ণ সূরা (সূরা মারিয়াম)ও নাযিল করা হয়েছে। সেখানে ঈসা (আ.) বা যিশু খ্রিস্টের নাম কোরআনে ২৫ বার এসেছে।

ডক্টর গ্যারি মিলার তার গবেষণার ফলাফলে এতটাই প্রভাবিত হন যে, তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যুক্তি দিয়ে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি বিনাশর্তে কোরআনের সামনে আত্মসমর্পণ করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম পাল্টে রাখেন আব্দুল আহাদ।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে