ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

রাহুল গান্ধীর পোস্টেও বাংলাদেশের উল্লেখ নেই

২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১৩:৫২:৩০
রাহুল গান্ধীর পোস্টেও বাংলাদেশের উল্লেখ নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র মতোই তার বক্তব্যে বাংলাদেশের উল্লেখ নেই। যুদ্ধের অবস্থান বা কোথায় লড়াই হয়েছে, সেই বিষয়টিও এ প্রতিবেদনে বলা হয়নি।

আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, “বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা ও অটল সংকল্প দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”

এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে নিজের দেশের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, বিজয় দিবসে তাঁরা সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করেন, যাদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালের ভারতের ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছে। মোদির পোস্টেও বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মোদির বক্তব্য অনুযায়ী, “তাঁদের দৃঢ় মনোবল ও নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে গৌরবের মুহূর্ত তৈরি করেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে সম্মান জানায় এবং ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।”

এটি নতুন নয়; ২০২৪ সালে বিজয় দিবসে মোদি একইভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের বিজয় হিসেবে দাবি করেছিলেন। তখনও মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখে বাংলাদেশের ভূমিকা উল্লেখ ছিল না।

ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেয়। আত্মসমর্পণ ইন্সট্রুমেন্টেও লেখা রয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় নয় মাস পুরোপুরি বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দেশের ১১টি সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহী কর্মকর্তা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছিলেন। এছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও স্বাধীনতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানি ছিল তুলনামূলকভাবে নগণ্য।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে