ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

৪ আলামত থাকলেই বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে অনেক ভালোবাসেন

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৭:০৯:৫০
৪ আলামত থাকলেই বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে অনেক ভালোবাসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের অন্তরের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা—আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা। কারণ, আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া পরকালে সফল হওয়া অসম্ভব। ইবাদত, দোয়া এবং ঈমানি আমলের মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন। তবে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা পাওয়ার কিছু নিদর্শন রয়েছে, যা একজন মুমিনের জীবনে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা ও স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ এর ব্যাখ্যায়, এমন ৪টি লক্ষণ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায়—আল্লাহ তায়ালা কাউকে ভালোবাসেন।

চলুন জেনে নিই সেই চারটি আলামত কী কী:

১. মানুষ তাকে ভালোবাসবে

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,“যখন আল্লাহ কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিব্রাইল (আ.)-কে বলেন: ‘আমি অমুককে ভালোবাসি, তুমিও তাকে ভালোবাসো।’ এরপর জিব্রাইল (আ.) আকাশে ঘোষণা দেন, আকাশবাসীরা তাকেও ভালোবাসে। অতঃপর সেই ভালোবাসা জমিনেও প্রতিষ্ঠিত হয়।”(হাদিস: মেশকাত ৫০০৫)

তবে মনে রাখতে হবে, জনপ্রিয়তা মানেই যে আল্লাহর ভালোবাসা তা নয়। অনেক অন্যায়কারী ও ঈমানহীন মানুষকেও বহু লোক ভালোবাসে। এখানে বলা হয়েছে—ঈমানদারদের কাছে প্রিয় হওয়া। নেককার ও সৎ মুমিনদের হৃদয়ে যার স্থান হয়—সে আল্লাহর কাছে প্রিয় হতে পারে।

২. দুনিয়ামুখীতা কম থাকবে

আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তিনি তাকে দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত রাখেন। এমন ব্যক্তির মনে পদ-পদবি, সম্পদ বা খ্যাতির প্রতি মোহ থাকেনা। আল্লাহ তাকে দুনিয়ার প্রাচুর্য থেকেও বাঁচিয়ে রাখেন—তার কল্যাণের জন্য।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,“আল্লাহ যখন কাউকে ভালোবাসেন, তখন তাকে দুনিয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখেন, যেমন তোমরা কোনো রোগীকে পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখো।”(তিরমিজি: ২০৩৬)

তবে এই কথার মানে এই নয় যে, দুনিয়া পাওয়া মানেই আল্লাহর ঘৃণা। অনেক নবী ও সাহাবি যেমন দাউদ (আ.), সোলায়মান (আ.) ও ওসমান (রা.) ছিলেন ধনবান—তবুও আল্লাহর প্রিয় ছিলেন। কারণ, তাদের অন্তরে দুনিয়ার মোহ ছিল না।

৩. জীবনে বিপদ-আপদ লেগেই থাকবে

বিপদে-আপদে যারা ধৈর্য ধরে, সন্তুষ্ট থাকে—তাদের আল্লাহ ভালোবাসেন। আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের বারবার পরীক্ষা নেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,“আল্লাহ যখন কাউকে ভালোবাসেন, তাকে পরীক্ষা করেন। যে এতে সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি; আর যে অসন্তুষ্ট হয়, তার জন্য আল্লাহর অসন্তুষ্টি।”(তিরমিজি: ২৩৯৬)

তিনি আরও বলেন,“আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্রুত শাস্তি দেন (এই দুনিয়াতেই)। আর যার অমঙ্গল চান, তার শাস্তি আখিরাতে রেখে দেন।”(মুসলিম: ২৯৫৬)

৪. দ্বীনের জ্ঞান ও নেক আমলের সুযোগ পাবেন

আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দেন ও বেশি বেশি নেক আমলের সুযোগ করে দেন।

রাসুল (সা.) বলেন,“আল্লাহ যাকে কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।”(বুখারি: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭)

আরও হাদিসে বলা হয়েছে,“আল্লাহ যখন কারো মঙ্গল চান, মৃত্যুর আগে তাকে নেক আমলের তাওফিক দেন এবং সেই আমলের ওপরই তার মৃত্যু হয়।”(তিরমিজি: ২১৪২; সহিহ ইবনে হিববান)

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে