ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

৩৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা  

২০২৫ অক্টোবর ০২ ০৮:৪২:৪৯
৩৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইরানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একসঙ্গে ২১টি প্রতিষ্ঠান ও ১৭ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।বুধবার (১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (OFAC) থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, ইরানের "Aerospace Industries Organization (AIO)" এবং "Shahid Bakeri Industrial Group (SBIG)"-এর সঙ্গে যুক্ত একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গোপনে দেশীয়ভাবে সামরিক প্রযুক্তি সংগ্রহ করছে। উল্লেখ্য, এই দুটি প্রতিষ্ঠান ইরানের শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয়।

এছাড়া, একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যা ইরান, হংকং ও চীনে সক্রিয়, তারা মার্কিন উৎপাদিত ইলেকট্রনিক পণ্য শিরাজ ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিজ নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেম তৈরি করে।

আরও একটি নেটওয়ার্ক, যার শাখা ছড়িয়ে রয়েছে ইরান, জার্মানি, তুরস্ক, পর্তুগাল এবং উরুগুয়ে জুড়ে, তারা ইরানের Helicopter Support and Renewal Company-র জন্য যন্ত্রাংশ জোগাড় করেছে। এই কোম্পানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) ব্যবহৃত হেলিকপ্টার সার্ভিস করে।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো জাতিসংঘের স্ন্যাপব্যাক ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া হয়েছে।সম্প্রতি, এই ব্যবস্থা আবার কার্যকর করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এটি কার্যকর হওয়ার পর এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র এত বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল।

OFAC জানিয়েছে:যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ারাধীন এলাকায় উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সব সম্পদ জব্দ করা হবে।মার্কিন নাগরিকরা এই তালিকাভুক্তদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না।বিদেশি ব্যাংকগুলো যদি তাদের সঙ্গে বড় ধরনের লেনদেন করে, তাহলে তারা দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।

ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের প্রতিরক্ষা খাতকে চাপের মধ্যে ফেলবে, এবং চীন, তুরস্ক, জার্মানি প্রভৃতি দেশগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

‘Snapback’ নিষেধাজ্ঞা হলো একটি ব্যবস্থাপনা, যার মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো পূর্বে স্থগিত রাখা নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর করতে পারে, যদি কোনো দেশ পূর্ব শর্ত ভঙ্গ করে।

২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA)-এর আওতায় এসব নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে এসে আবার 'স্ন্যাপব্যাক' ব্যবস্থার পথ ধরে। সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে সেই ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হলো।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে