ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশসহ ১০ দেশে চলছে বিশ্বব্যাংকের ‘ডিজিটাল নজরদারি’

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ০৯:২৬:৪৭
বাংলাদেশসহ ১০ দেশে চলছে বিশ্বব্যাংকের ‘ডিজিটাল নজরদারি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশে ব্লকচেইনভিত্তিক ‘ফান্ডসচেইন’ প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে বিশ্বব্যাংক। ফান্ডসচেইনের মাধ্যমে প্রকল্পের প্রতিটি লেনদেন ডিজিটালি ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে, যা উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে জবাবদিহিতা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বব্যাংক ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ফান্ডসচেইনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতিমধ্যে ১০ দেশের ১৩টি প্রকল্পে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এটি ২৫০টি উন্নয়ন প্রকল্পে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশে কোথায় ব্যবহার হচ্ছে ফান্ডসচেইন?

বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে ৬০ কোটি ডলারের রেজিলিয়েন্স, এনট্রেপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টে, যার আওতায় ৩,২০০টি গ্রামে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা, মাতৃত্বকালীন ব্যয়, স্যানিটেশন এবং অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণে সহায়তা করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (SDF) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সংস্থাটির পরিচালক মাহবুবুল আলম জানান, “আমরা ৩৫০টি গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ফান্ডসচেইন চালু করেছি। ৩২০০ গ্রামেই ল্যাপটপ সরবরাহ এবং নারী নেত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নিজেরাই তহবিল ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারেন।”

কেন গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডসচেইন?

বিশ্বব্যাংক বলছে, বিভিন্ন দেশের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং তথ্য বিনিময়ের সীমাবদ্ধতা দূর করতে এই প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। ফান্ডসচেইনের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

পরিবর্তন অযোগ্য ডিজিটাল রেকর্ড

প্রতিটি ডলার ট্র্যাকযোগ্য

প্রকল্প অংশীদারদের তাৎক্ষণিক লেনদেন রেকর্ডে প্রবেশাধিকার

স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটাল ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট

এই ব্লকচেইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি ডলার নিরাপদ ও অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেজারে সংরক্ষিত থাকে, যা সংশ্লিষ্ট সবাই দেখতে পারেন। ফলে লেনদেনের তথ্য গোপন থাকে না এবং তহবিল অপব্যবহার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্প্রসারণ

ফান্ডসচেইনের প্রাথমিক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন অন্যতম, যেখানে এটি মেট্রো ম্যানিলা ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টে (৫০০ মিলিয়ন ডলার) ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশটির ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট লোভেলা মোরাদা একে “একটি স্বচ্ছ ট্র্যাকিং ও দ্রুত লেনদেন নিশ্চিত করা ওয়ান-স্টপ সলিউশন” হিসেবে আখ্যা দেন।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এ উদ্যোগ তাদের বড় লক্ষ্যের অংশ—যেখানে প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট ও সম্প্রদায়কে আরও কার্যকরভাবে সেবা দেওয়া যাবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে