ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

ঘরে যেসব জিনিস থাকলে জীন আসবেই

২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৬:৩২:৪৪
ঘরে যেসব জিনিস থাকলে জীন আসবেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছু জিনিস ঘরে রাখলে বা কিছু কাজ করলে রহমতের ফেরেশতারা সেই ঘরে প্রবেশ করেন না। ফলে জিন বা শয়তানী অস্তিত্ব সেখানে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পায়। নিচে সেসব কারণগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. পুতুল ও জীবজন্তুর ছবি

ঘরে জীবন্ত প্রাণীর প্রতিকৃতি (ছবি, ভাস্কর্য, পুতুল) থাকলে ফেরেশতারা সে ঘরে প্রবেশ করেন না।

পুতুলের মাধ্যমে জিন ভর করতে পারে বলে অনেক ইসলামি মত রয়েছে।

হাদিস অনুযায়ী, “যে ঘরে কুকুর বা ছবি থাকে, সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।” (সহিহ বুখারি)

অনেক সময় পুতুল নড়াচড়ার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও অনেকে জিনের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন।

২. ঝুনঝুনির শব্দ

বাচ্চাদের পায়ের নূপুর বা ঘন্টাধ্বনি জাতীয় যন্ত্র থেকে আসা ঝুনঝুন শব্দ জিনদের আকৃষ্ট করে বলে বলা হয়।

ফেরেশতারা এমন শব্দযুক্ত ঘরে অনাগ্রহী হন, যার ফলে সেই শূন্যতাকে জিনরা কাজে লাগাতে পারে।

এই বক্তব্য কিছুলোকের মতে কিয়াস বা উপমার মাধ্যমে ব্যাখ্যাযোগ্য, সরাসরি হাদিসে নেই।

৩. হিংস্র প্রাণীর চামড়া

বাঘ, হায়েনা বা হিংস্র প্রাণীর চামড়া ঘরে রাখলে তা কালো জাদু, শয়তানী প্রভাব বা জিনদের আকৃষ্ট করে।

কালাজাদুর চর্চায় এসব উপাদান ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে।

৪. জমানো প্রস্রাব (পেশাব)

টয়লেটে পেশাব ফ্লাশ না করে জমিয়ে রাখলে, তা জিনদের জন্য আবাসস্থান বা ঘৃণ্য স্থান হয়ে ওঠে।

এমন পরিবেশে তারা উপস্থিত হয় এবং মানুষকে বিরক্ত করতে পারে।

৫. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ব্যক্তি

হাদিস অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি যে ঘরে থাকেন, সেখানে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।

সেই শূন্যতা জিন বা শয়তান পূরণ করতে পারে।

৬. কুকুর

হাদিসে আছে, “ফেরেশতারা কুকুর ও ছবি আছে এমন ঘরে প্রবেশ করেন না।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

কুকুরের শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া ও অপবিত্রতা ছড়াতে পারে, যা ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়।

তবে রক্ষা ও পাহারার প্রয়োজনে কুকুর পোষা বৈধ, যদিও এরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

৭. বিড়াল

বিপরীতে, বিড়াল ইসলামি শরিয়তে পবিত্র প্রাণী হিসেবে স্বীকৃত।

হাদিসে আছে, “বিড়াল অপবিত্র নয়। তারা তোমাদের গৃহস্থালি ঘোরে।” (তিরমিজি)

অনেক ইসলামি আলেম মনে করেন, বিড়াল ঘরে থাকলে জিনরা তা এড়িয়ে চলে।

৮. ড্রেনে গরম পানি ফেলা

গরম পানি ড্রেন বা বাথরুমে ফেলার আগে বিসমিল্লাহ না বললে, সেখানকার অদৃশ্য জিনদের ক্ষতি হতে পারে।

এতে তারা প্রতিশোধ নিতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

ইসলামি আদব হলো— বাথরুমে প্রবেশের আগে ও পানি ফেলার সময় “বিসমিল্লাহ” বলা।

৯. বিছানা ঝেড়ে ঘুমানো

নবী মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন—ঘুমানোর আগে বিছানা ভালো করে ঝেড়ে নিতে।

হাদিসে আছে, “তোমাদের কেউ যখন ঘুমাতে যাবে, যেন তিনবার বিছানা ঝেড়ে নেয়।” (সহিহ বুখারি)

কারণ, আগের যুগে জিন-সাপ ও বিষাক্ত প্রাণী বিছানায় চলে আসার নজির ছিল।

১০. কোরআন তিলাওয়াত ও সূরা পড়া

ঘরে নিয়মিত সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস ফজর ও মাগরিবের পর তিনবার করে পড়া জিনদের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।

কোরআনুল কারিম তিলাওয়াত হলে ফেরেশতারা ঘরে অবস্থান করেন, যা জিনদের প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করে।

“যে ঘরে সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত হয়, সে ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায়।” (সহিহ মুসলিম)

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে