ঢাকা, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

ভারতের সরকারি ছাপাখানা থেকে বাংলাদেশে আসছে বিপুল জাল নোট!

২০২৫ অক্টোবর ০৩ ০৮:০২:৪১
ভারতের সরকারি ছাপাখানা থেকে বাংলাদেশে আসছে বিপুল জাল নোট!

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে বিপুল পরিমাণ জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে। তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন রুটে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার সমমূল্য জাল নোট ঢুকানো হচ্ছে।

সায়েরের দাবি অনুযায়ী, এই নোটগুলো খালি চোখে চেনা কঠিন এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অটোমেটেড যাচাই মেশিনেও তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। নোটগুলোতে ব্যবহৃত কাগজ, নিরাপত্তা সুতার প্রলেপ এবং হলোগ্রাম মূল মুদ্রার সঙ্গে অত্যন্ত সাদৃশ্যপূর্ণ।

তিনি আরও বলেছেন, এসব নোট ভারতের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা-নিয়ন্ত্রিত মুদ্রা ছাপাখানায় ছাপানো হয়েছে। এরপর বিশেষভাবে পরিকল্পিত ও গোপন পদ্ধতিতে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

সায়ের পোস্টে কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে। একটি স্ক্রিনশটে হিন্দি ভাষায় লেখা ছিল, “ভাই, আপনি কি মাল নিতে যাচ্ছেন? যদি নিতে চান, দ্রুত জানান। আগামীকাল আরও দুটি পার্সেল আসছে, সেগুলো আপনার সঙ্গে পাঠিয়ে দেব। অর্ডার কনফার্ম করতে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ টাকা পাঠাতে হবে।”

অন্য স্ক্রিনশটে আরও লেখা ছিল, “আমি আপনাকে একটি নাম্বার দিচ্ছি। এই নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ টাকা পাঠান এবং আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার দিন। মাল দু’দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে।”

জুলকারনাইন সায়েরের দাবি, এই নোটগুলো অত্যন্ত কম মূল্যে জাল নোট চক্রের হাতে পৌঁছানো হচ্ছে, যার লক্ষ্য দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করা, ভেতর থেকে অর্থনীতি ধ্বংস করা এবং সন্ত্রাস ও নাশকতায় অর্থায়ন করা।

তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা ইউনিট এই বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট বড় হওয়ায় জনসচেতনতা তৈরির ওপরও জোর দিতে হবে।

সায়ের সতর্ক করেছেন, যদি এই নোটগুলো বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করে, তবে এটি দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের সঞ্চিত অর্থের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারি কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত দেশের পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

আন্তর্জাতিক সাংবাদিক জুলকারনাইন স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তার তথ্য সঠিক হয়, এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধেও একটি গভীর ষড়যন্ত্র।

সায়ের পাঠকদের উদ্দেশে বলেছেন, ব্যাংকিং লেনদেনের সময় সতর্ক থাকুন, সন্দেহজনক নোট পেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান এবং বাজারে লেনদেনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।

সিরাজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে