নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট পাচার করা হচ্ছে—এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

বুধবার (১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি সচেতনতামূলক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

জুলকারনাইন লিখেছেন,“বাংলাদেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মদদে বিভিন্ন সীমান্ত রুটে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে। এই নোটের কাগজ, নিরাপত্তা সুতাসহ হলোগ্রাম প্রিন্ট এতটাই নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, খালি চোখে বা এমনকি ব্যাংকের যাচাই মেশিনেও এগুলো শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব।”

তিনি আরও দাবি করেন,“বিশেষ ব্যবস্থায় একটি দেশের সরকারি মুদ্রা ছাপার সুবিধা (press/facility) ব্যবহার করে এসব জাল নোট ছাপানো হচ্ছে। লক্ষ্য—বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতকে দুর্বল করা এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করা। এসব জাল নোট খুবই কম দামে দেশের জালনোট চক্রের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে।”

পোস্টে জুলকারনাইন উল্লেখ করেন,“বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বর্ডার গার্ড), বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।”

এই অভিযোগ এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মুসআব/