ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

খাদ্য খাতের ডজন কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার

২০২৫ অক্টোবর ০২ ০০:৪৪:৫৭
খাদ্য খাতের ডজন কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে আগস্ট মাসে ১১টিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে এই বৃদ্ধির হারও ছিল খুবই সীমিত—মাত্র ০.১০ শতাংশের বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়লেও খাতটিতে এখনো বড় কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

খাতটির অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি অলিম্পিকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২১.০১ শতাংশ, আগস্টে বেড়ে হয় ২১.৩২ শতাংশ। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩২.৩৮ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে ৩৩.৪২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১২.৮৮ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি।

অ্যাপেক্স ফুডস

এই কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৭ লাখ ২ হাজার ৪০০টি, আর পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ৫.৫৮ শতাংশ শেয়ার, যা আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৭৪ শতাংশে। অর্থাৎ মাত্র ১.১৬ শতাংশ বৃদ্ধিই ঘটেছে। বর্তমানে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫৩.৩৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯.৮৭ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবিসি)

তামাকশিল্পের এই জায়ান্ট কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ১৪.২৪ শতাংশ, আগস্টে তা বেড়ে হয় ১৪.৪১ শতাংশ। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার মাত্র ০.১৭ শতাংশ। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৭২.৯১ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.৬৪ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে ৩.৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮.৪৯ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৩০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

বিডি থাই ফুড

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ১৫ লাখ এবং পরিশোধিত মূলধন ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩১.৬১ শতাংশ, আগস্টে তা বেড়ে হয় ৩৩.৬৩ শতাংশ। মাত্র এক মাসেই ২.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া গেলেও খাতটির সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সীমিত। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৫.৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩০.৭৬ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে মাত্র ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি।

বিচ হ্যাচারি

৪ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ২১ শেয়ার এবং ৪১ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিতে জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৫.২১ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮.৪০ শতাংশে। এক মাসে বৃদ্ধির হার ৩.১৯ শতাংশ হলেও উদ্যোক্তাদের হাতে এখনো ৩৪.৯৭ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৬.৬৩ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি দিয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড।

ফাইন ফুডস

কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৮টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.০৮ শতাংশ, যা আগস্টে বেড়ে হয় ২৭.৩১ শতাংশ। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১৫.২৫ শতাংশ, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

জেমিনি সি ফুডস

এই কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৮টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৮.৯২ শতাংশ, আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ১০.৫০ শতাংশে। অর্থাৎ ১.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০.০১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে মাত্র ০.১৫ শতাংশ, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫৯.৩৪ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি দিয়েছে ৭.৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো

২১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬২১ শেয়ার এবং ২১৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূলধনের এই কোম্পানিতে জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৮.৩৩ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮.৫৬ শতাংশে। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০.৪২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৩১ শতাংশ, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩০.৭১ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য মাত্র ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি।

লাভেলো আইস্ক্রিম

কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৩৫ লাখ এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৪২ শতাংশ, আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫.২৫ শতাংশে। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৮.৬৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬.০৯ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি দিয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

আরডি ফুড

৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬৬ শেয়ার এবং ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূলধনের এই কোম্পানিতে জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.২৪ শতাংশ, আগস্টে বেড়ে হয় ১৪.৬০ শতাংশে। উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৭.৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৮৯ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে মাত্র ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি।

জিলবাংলা সুগার মিলস

খাতটির দুর্বল কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম জিলবাংলার মোট শেয়ার সংখ্যা মাত্র ৬০ লাখ এবং মূলধন ৬ কোটি টাকা। জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৩.১৫ শতাংশ, আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৬৬ শতাংশে। উদ্যোক্তাদের হাতে কোনো শেয়ার নেই, সরকারের হাতে রয়েছে ৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৫.৩৪ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি কোম্পানিটি। এমনকি গত ১০ বছরেও ডিভিডেন্ড দিয়েছে কিনা—সে তথ্য ডিএসই-তে নেই।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে