ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

ভাই–বোন, শ্যালক–শ্যালিকাকে পাঠানো রেমিট্যান্সে দিতে হবে ট্যাক্স

২০২৪ জুন ১৬ ২২:২০:৩৫
ভাই–বোন, শ্যালক–শ্যালিকাকে পাঠানো রেমিট্যান্সে দিতে হবে ট্যাক্স

প্রবাস ডেস্ক : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও মা-বাবা ছাড়া অন্য যে কারও কাছ থেকে রেমিট্যান্স বা নগদ অর্থ ও উপহার পেলে তার ওপর ট্যাক্স বা কর দিতে হবে। এই ট্যাক্স হার হবে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ।

নতুন বাজেটের প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও মা-বাবা ছাড়া আর কেউ কোনো উপহার দিলে তার ওপর ট্যাক্স বসবে। এমনকি নগদ অর্থ দিলেও ট্যাক্স আরোপ হবে। উপহার পেলে বছর শেষে আয়কর রিটার্নে করদাতাকে তা দেখাতে হবে।

এমনকি উপহারদাতাকেও তাঁর রিটার্নে উপহার দেওয়ার বিষয়টি জানাতে হবে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স উপহার হিসেবে এলে তা-ও করের আওতায় পড়বে।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আসে। মালয়েশিয়া থেকেও অনেক রেমিট্যান্স আসে। দেখা গেছে, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী বা মা-বাবার ব্যাংক হিসাব ছাড়াও অনেক প্রবাসী ভাই-বোন, শ্যালক-শ্যালিকাসহ আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের ব্যাংক হিসাবেও বিপুল অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়ে থাকেন।

এনবিআরের নতুন প্রস্তাবে উপহারের যে মারপ্যাঁচ, তা রেমিট্যান্স নিয়ে সরকারের সার্বিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই উদ্যোগ পরিস্থিতি জটিল করবে।

গ্রামগঞ্জে অনেক বয়স্ক মা-বাবার ব্যাংক হিসাব থাকে না, ছেলে-মেয়ে নাবালক হয় কিংবা স্ত্রীও ব্যাংক হিসাব খোলেন না। ফলে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ভাইবোন-বন্ধুবান্ধবসহ আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক হিসাব। এই অর্থ বৈধ চ্যানেলেই আসে।

কিন্তু ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী বা মা-বাবার বাইরে ভাইবোন-বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক হিসাবে প্রবাসী আয় এলে তা ওই ব্যক্তির (প্রাপক) মূলধনি আয় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং নতুন বাজেটে অনুযায়ী তা করযোগ্য হবে। তবে ওই ব্যক্তিকে করের আওতায় থাকতে হবে। এই আয়কে উপহার হিসেবে ধরা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবে এ কথা বলা আছে।

এনবিআরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এই বিষয়ে বলেন, নতুন প্রস্তাব অনুসারে, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরের মানুষের কাছে পাঠানো এই ধরনের রেমিট্যান্স মূলধনি আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি উপহার হিসেবে পেলেও তা করযোগ্য। কর আরোপ না করার উপায় হলো, যিনি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, তাঁকে তা নিজের অর্থ হিসেবে দেখাতে হবে। যিনি পেয়েছেন, তাঁকে রিটার্নে তা দায় হিসেবে দেখাতে হবে। তাহলেই কেবল কর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

এই বিষয়ে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকেরা তাঁদের ভাই-বোন, বন্ধুবান্ধবের কাছে রেমিট্যান্স পাঠান। এটি আমাদের বাস্তবতা। রেমিট্যান্সের অর্থে কর নেই। কিন্তু এনবিআরের নতুন প্রস্তাবে উপহারের যে মারপ্যাঁচ, তা রেমিট্যান্স নিয়ে সরকারের সার্বিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এনবিআরের এই উদ্যোগ পরিস্থিতি জটিল করবে।’

এএসএম/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে