ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

প্রবাসীদের পারিবারিক জীবনের বিপর্যয়ে হাইকোর্টের উদ্বেগ

২০২৪ মে ১৩ ০৬:৪৯:০৭
প্রবাসীদের পারিবারিক জীবনের বিপর্যয়ে হাইকোর্টের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি আরব প্রবাসী মঈন। ২০২০0 সালে সুমনাকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের তিন মাস পর সুমনা গর্ভবতী হন।

এরপর মইন দেশে আসেন। কিন্তু সন্তান জন্মের ১০ মাস পর সুমনা আরেক জনকে বিয়ে করেন। শিশুটির জীবন এখন অনিশ্চিত। শিশুটিকে মঈনের পরিবারকেও দেখতে দেওয়া হচ্ছে না।

এই অবস্থায় শিশুটির দায়িত্ব নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মঈন। তার পরিবার জানায়, সুমনা তালাক ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। যা শরিয়ত সম্মত নয়।

এভাবে প্রবাসীদের পরিবার ভাঙার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলছে, এই সংকটে অনেক প্রাণ হারাচ্ছে। এছাড়, পরিবারে বাড়ছে অস্থিরতা।

পরিবারে আস্থার সংকট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। একে সামাজিক সংকট হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার এই ঘটনা সংক্রান্ত পারিবারিক সমস্যার সমাধান করে বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত এসব মন্তব্য করেন।

এই বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, ‘যারা প্রবাসী তাদের নিয়ে আমরা প্রায়ই এমন কথা শুনি। দেশে থাকা স্ত্রী প্রবাসে থাকা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক মেইনটেইন করছেন না বা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্য কাউকে বিয়েও করে ফেলছেন। এগুলো সামাজিক একটা অবক্ষয়। আমরা এগুলো দেখতে চাই না।’

শুনানি শেষে শিশুটিকে বাবা ও তার পরিবারকে দেখতে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আবেদনকারীর বাবার আইনজীবী শাহজাদা আল আমিন বলেন, আদালত বলেছেন শিশুটিকে দেখতে কোনো বাধা নেই। যাতে শিশুর বাবা বা বাবার পরিবারের কেউ তা সহজেই দেখতে পারে। এতে বাধা দিলে আদালতকে অবহিত করে শিশুটির মায়ের কাছ থেকে শিশুটিকে আনা হবে।

শুনানিতে উঠে আসে, শুধু স্ত্রী নন প্রবাসে থাকা স্বামীর কারণেও অনেক সংসার ভাঙছে। এমনটা বলছেন আইনজীবীরাও।

শেয়ারনিউজ, ১২ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে