ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

মেধাবী ছাত্রী নন্দিনীর মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

২০২৫ অক্টোবর ০৯ ০৮:২৫:২৩
মেধাবী ছাত্রী নন্দিনীর মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নন্দিনী সরকার (১৯) গত ৫ অক্টোবর রাতে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যু মাদকের বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরেই জানা যাবে।

মানিকগঞ্জ জেলার গিলন্ড গ্রামের ইজিবাইকচালক অনিল সরকারের মেয়ে নন্দিনী ছিলেন দুই বোনের বড়। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে সদ্য ভর্তি হয়েছিলেন। দুর্গাপূজার সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে শৈলকূপার ভাণ্ডারীপাড়ায় মামার (বিজন সরকারের) বাড়িতে বেড়াতে যান।

৩ অক্টোবর (শুক্রবার) পরিবারসহ কুমার নদে পূজার বিসর্জন দেখতে নৌকায় যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলস-এর দুইজন কর্মচারী, যাদের নাম প্রকাশ হয়নি। একদিন পর, ৪ অক্টোবর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নন্দিনী।

চিকিৎসা গ্রহণের ধাপ:

৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি

প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে নেওয়া হয়

রাত ১২টার পর পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়

অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার

সেখানে মৃত্যুবরণ করেন রাত ৩:১০ মিনিটে

কুষ্টিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হোসেন ইমাম স্লিপে উল্লেখ করেন, নন্দিনী মাদক বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। পরবর্তীতে মরদেহ হস্তান্তরের আগে ময়নাতদন্ত করা হয়।

নন্দিনীর মৃত্যুর বিষয়ে শৈলকূপা থানায় দায়েরকৃত অপমৃত্যুর মামলার বাদী হিসেবে নাম এসেছে স্থানীয় সঞ্জয় কুমার সরকারের। তিনি বলেন, "কি লিখেছি মনে নেই, খুব ব্যস্ত ছিলাম।"

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান গুজব ছড়ালেও, পরিবার বলছে তারা হতবিহ্বল ও বিব্রতকর অবস্থায় দিন পার করছেন

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসর্জনের দিন অন্তত ৬ জন তরুণী মিলে বাংলা মদ পান করেন—যার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নন্দিনী

চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, প্রথমবার শরীর দুর্বলতা ও দ্বিতীয়বার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিনি

গোলক মজুমদার, সহকারী পরিচালক, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ঝিনাইদহ) বলেন:“ক্যারু কোম্পানির তৈরি বাংলা মদে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে ভেজাল মেশালে প্রাণঘাতী হতে পারে। আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।”

সরকারি উচ্চমহল থেকে নন্দিনীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শৈলকূপা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে তদন্তে গেছেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো—যেকোনো উৎসব বা আনন্দের মুহূর্তে অসচেতনতার মূল্য হতে পারে ভয়াবহ। পরিবার, সমাজ ও তরুণদের জন্য এটি একটি বড় সতর্কবার্তা।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে