ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

আর্থিক খাতে বড় ধাক্কা: একসঙ্গে নয় লিজিং কোম্পানি বন্ধের পথে

২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৯:৩৪:৫৮
আর্থিক খাতে বড় ধাক্কা: একসঙ্গে নয় লিজিং কোম্পানি বন্ধের পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আর্থিক খাতে সংস্কার এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার এবার একটি বড় ও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশের মোট নয়টি নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (এনবিএফআই) বা লিজিং কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বুধবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই বিষয়টি অবহিত করেছেন।

প্রেস সচিব আরও জানান যে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দেশের আর্থিক খাতের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর উল্লেখ করেন, বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রমে অদক্ষতা, গুরুতর অনিয়ম এবং ধারাবাহিক মূলধন ঘাটতির কারণে বাজারের সামগ্রিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করছিল।

এই প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে না, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবাহেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই কঠিন বাস্তবতা বিবেচনা করেই সরকার শেষ পর্যন্ত এই নয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অবসায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এই বড় ঘোষণা দেওয়া হলেও, কোন নয়টি লিজিং কোম্পানি অবসায়নের আওতায় আসছে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

গণমাধ্যমকর্মীরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "গভর্নরের বক্তব্যে সেই নির্দিষ্ট তালিকা উল্লেখ ছিল না, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানাবে।"

এই ঘোষণার পর থেকেই আর্থিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল থাকা কোন কোন প্রতিষ্ঠান এবার চূড়ান্তভাবে বন্ধ হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলছেন, দুর্বল ও অনিয়মে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজার থেকে সরিয়ে দিলে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। তবে একই সঙ্গে তারা দায়িত্বশীল বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই অবসায়ন প্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে এবং এটি এমনভাবে সম্পন্ন করতে হবে যাতে আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবেই বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হন। এই পদক্ষেপ আর্থিক খাতে একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে বলে তাদের আশা।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে