ঢাকা, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

বসুন্ধরা, এস আলমসহ ১১ শিল্পগোষ্ঠীর টাকা পাচার অভিযানে বড় মোড়!

২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৭:৫৭:১২
বসুন্ধরা, এস আলমসহ ১১ শিল্পগোষ্ঠীর টাকা পাচার অভিযানে বড় মোড়!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ—যার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং একাধিক শিল্পগোষ্ঠীর নাম জড়িত—তা ফেরত আনতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় ৩২টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (MD) উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ওমর ফারুক খান বলেন, “আমরা ১২টি আন্তর্জাতিক ল-ফার্ম ও অ্যাসেট রিকভারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করব। কিছু ব্যাংক লিড ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং যৌথভাবে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে। এরপর সেই অর্থ কীভাবে বাংলাদেশে ডিপোজিট করা সম্ভব, তা মূল্যায়ন করা হবে।”

তিনি জানান, সিআইডির একটি বিশেষ ইউনিট ইতিমধ্যে ১১টি প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠীর নাম চিহ্নিত করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে—বসুন্ধরা, এস আলম, নাসা ইত্যাদি। ওমর ফারুক বলেন, “আমরা এনডিএ (Non-Disclosure Agreement) স্বাক্ষরের মাধ্যমে কাজ শুরু করব। কিছু প্রাথমিক অগ্রগতি ইতিমধ্যেই এসেছে।”

এবি ব্যাংকের এমডি মিজানুর রহমান বলেন, “এটি কোনো একক ব্যাংকের প্রকল্প নয়; এটি ‘টোটাল ব্যাংকিং কনসেপ্ট’। সব ব্যাংক মিলে একযোগে কাজ করবে। সভায় প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।”

পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক মানি লন্ডারিং প্রসঙ্গে ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার কথা বলেছে। এসব সংস্থাকে এনডিএর আওতায় এনে বিদেশি অ্যাসেট রিকভারি কার্যক্রম শুরু করা হবে।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য ছাড়াও যেসব প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নাম এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন:

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের পরিবারের আরামিট গ্রুপ

বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম, বেক্সিমকো, সিকদার গ্রুপ, নাসা, ওরিয়ন, জেমকন, নাবিল, সামিট গ্রুপ ইত্যাদি।

অভিযোগ রয়েছে, এই শিল্পগোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের কিছু অংশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে সুবিধাভোগী হিসেবে পৌঁছেছে।

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে আগেও কাজ করা আন্তর্জাতিক চারটি সংস্থার নামও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে:

Stolen Asset Recovery (StAR)

International Anti-Corruption Coordination Centre (IACCC)

US Department of Justice

International Centre for Asset Recovery (ICAR)

এসব সংস্থা ইতিমধ্যে তথ্য আহরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে এবং এখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে, যেন দ্রুততম সময়ে ওই ১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করা হয়।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে