ঢাকা, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

শিশুর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখার নিয়ম ও ইসলামিক বিধান

২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১১:০৯:২৬
শিশুর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখার নিয়ম ও ইসলামিক বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রশ্ন: শিশুর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখা যাবে কি?

উত্তর সংক্ষেপে: শরিয়তের দৃষ্টিতে "বিসমিল্লাহ" নাম রাখা সরাসরি হারাম বা গুনাহের কাজ নয়, কারণ এতে কোনো কুফরি বা অবমাননাকর অর্থ নেই। এটি একটি পবিত্র বাক্য—"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"—যার অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি।

তবে এই নাম রাখা মোটেই সুপারিশযোগ্য বা "উত্তম" নয়, কারণ: এটি একটি পূর্ণ বাক্য, কোনো ব্যক্তিবাচক নাম নয়।

ডাকনাম বা রাগান্বিত সময়ে কেউ যদি সন্তানের নাম নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে, তাহলে পবিত্র বাক্যটি অবমাননার শিকার হতে পারে, যা মারাত্মক আদববিরোধী ও অশোভন।

ইসলামী শিষ্টাচার অনুসারে, আল্লাহর নাম বা কোরআনিক বাক্যকে সাধারণ চলন-বলনে ব্যবহার না করাই উত্তম।

ইসলাম ধর্মে নাম রাখার সময় ৩টি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়: সুন্দর ও অর্থবহ নাম হওয়া, যেমন — ইমান, সুমাইয়া, মারিয়াম, আয়েশা, নূর, আমানাহ, তাসনিম ইত্যাদি।

আল্লাহর গুণবাচক নাম হতে পারে, তবে "আব্দ" (বান্দা) যোগ করে যেমন: আব্দুর রহমান, আমাতুল্লাহ ইত্যাদি।

পবিত্র কালামকে সাধারণ নামে রূপান্তর করা থেকে বিরত থাকা।

অতিরিক্ত কিছু পরামর্শ: আপনি যদি ছোট, সুন্দর এবং অর্থবহ নাম চান, তাহলে "বিসমিল্লাহ" থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে "নুর", "রাহমা", "বরকাহ", "সালেহা", "তাওফিক", "হুদা" ইত্যাদি শব্দ বেছে নিতে পারেন।

কন্যাসন্তানের জন্য সাহাবিয়া বা আল্লাহভক্ত নারীদের নাম বেছে নেওয়া বরকতময় হয়।

চূড়ান্ত কথা: ‘বিসমিল্লাহ’ নাম রাখা শরিয়তে বৈধ হলেও তা পরিহার করাই উত্তম ও আদবসঙ্গত।

সন্তানের জন্য এমন নাম নির্বাচন করুন যা তার পরিচয়ে মর্যাদা বাড়ায় এবং ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধরে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে