ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়

২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৬:০৫:৫৪
কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান দ্রুতগতির জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ—এই চারটি মূল কারণেই আজকাল অল্প বয়সেই নানা জটিল রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। আগে যেখানে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা মধ্যবয়সী বা প্রবীণদের মধ্যে সীমিত ছিল, এখন ৩০ পেরোতেই অনেকের রিপোর্টে উঠছে উচ্চ কোলেস্টেরল শব্দটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ কোলেস্টেল রক্তনালিতে জমা হতে শুরু করলে তা ধমনীর প্রাচীরে আটকে গিয়ে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলেই হৃদ্‌রোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

তবে কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক উপসর্গের দিকে খেয়াল রাখলেই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, নিচের উপসর্গগুলো কোলেস্টেরলজনিত সমস্যার প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে।

পায়ে ব্যথা বা হাঁটার সময় টান

ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে গেলে পায়ে রক্তপ্রবাহ কমে যায়, যার কারণে হাঁটার সময় পায়ে ব্যথা বা টান লাগতে পারে। একে বলে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ।দীর্ঘক্ষণ হাঁটার পর ব্যথা শুরু হয়ে বিশ্রামে কমে গেলে, তা এর লক্ষণ হতে পারে।

রাতে পায়ে খিঁচুনি বা টান

রাতে ঘুমের সময় পায়ে হঠাৎ টান লাগা বা খিঁচুনি হওয়া—বিশেষত পায়ের পাতা বা পেশিতে রক্তনালিতে সঙ্কোচনের ফলে হতে পারে। অনেক সময় পা নিচে ঝুলিয়ে রাখলে কিছুটা স্বস্তি মেলে।

চিনচিনে ব্যথা বা অবশ ভাব

প্রায়ই যদি পা বা পায়ের পাতায় চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হয়, কিংবা পা অবশ লাগতে থাকে, তবে তা কোলেস্টেরলজনিত রক্তপ্রবাহের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।ঘুমের সময় এই ধরনের অস্বস্তি আরও বাড়ে।

বুকে ব্যথা বা চাপ

কোলেস্টেরল জমে হৃদযন্ত্রের ধমনীগুলোতে চাপ সৃষ্টি করলে বুকে জ্বালা, টান বা ভার লাগার মতো অনুভূতি হয়। এটি করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।

ঘাড়, চোয়াল বা কাঁধে অস্বাভাবিক ব্যথা

শরীরজুড়ে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে ঘাড়, কাঁধ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় তা পেশীর ব্যথা মনে হলেও, এর নেপথ্যে থাকতে পারে বাড়তি কোলেস্টেরল।

পায়ে ঠাণ্ডা ভাব বা রঙ বদলে যাওয়া

এক বা দুই পায়ে হঠাৎ ঠাণ্ডা অনুভব হওয়া এবং ত্বকে নীলচে বা ফ্যাকাসে ভাব দেখা গেলে তা রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার লক্ষণ। যা ধমনিতে কোলেস্টেরল জমার কারণেও হতে পারে।

এই উপসর্গগুলিকে অবহেলা না করে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা বা শরীরচর্চা—এই তিনটি বিষয় মেনে চললে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা। মনে রাখতে হবে, শরীরের সুস্থতার চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে সময়মতো সতর্কতায়।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে