ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

গাজীপুরে নৈরাজ্য বৃদ্ধির পেছনে দুই বড় কারণ

২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৪:৪০:৩৫
গাজীপুরে নৈরাজ্য বৃদ্ধির পেছনে দুই বড় কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার সংলগ্ন শিল্পাঞ্চল গাজীপুরে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অপরাধপ্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করিম খান এই পরিস্থিতির পেছনে দুটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি কমিশনার জানান, অপরাধ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হলো জুলাই বিপ্লবের পর গাজীপুরের অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, যার ফলে শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

তিনি দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, গাজীপুরকে 'আওয়ামী লীগের ঘাঁটি' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে 'পতিত সরকারের লোকজন' ইচ্ছে করে সেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

নৈরাজ্য ও হত্যাকাণ্ডের চিত্র

গত সাত মাসে গাজীপুরে শতাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে দা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর আগের দিন আরেক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বেদম মারধরের শিকার হন এবং তার পা থেঁতলে দেওয়া হয়।

শুধু এই কয়েকটি ঘটনাই নয়, গত সাত মাসে গাজীপুর মহানগর ও জেলায় মোট ১০৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজনীতি, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, পূর্বশত্রুতা, জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধসহ বিভিন্ন কারণে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এছাড়া, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, যেখানে চাপাতি নিয়ে হামলার ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গাজীপুর চৌরাস্তা, চান্দনা ও টঙ্গীর মতো বেশ কিছু স্থান অপরাধীদের চিহ্নিত আস্তানায় পরিণত হলেও, এ বিষয়ে পুলিশের জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জিএমপি কমিশনার তুহিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সেখানে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো তুলে ধরেন।

মারুফ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে