ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
Sharenews24

মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি দিলে গোশত খাওয়ার বিধান

২০২৫ মে ২০ ১৬:১৮:০৪
মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি দিলে গোশত খাওয়ার বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ইবাদত। এটি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দেয়া হয়। জিলহজের ১০ তারিখের ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কোরবানি দিতে হবে।

ইসলামি শরিয়তে, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি দেয়া জায়েজ। এর বিনিময়ে সওয়াব পাবেন তারা। আর কোরবানির নেসাব হচ্ছে- স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো: এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে।

সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।

কোরবানির ক্ষেত্রে কখনো গোশত খাওয়া উদ্দেশ্য হয় না। বরং এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সবার প্রত্যাশা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না সেগুলোর গোশত এবং রক্ত, বরং তার কাছে পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এদেরকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত করেছেন; কাজেই আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে। (সুরা হজ, আয়াত : ৩৭)আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানি করার বিধান রয়েছে। কেউ যদি মৃত ব্যক্তির পক্ষে কোরবানি দেন, তাহলে তার কোরবানি দেয়া কিংবা মৃতের জন্য কোরবানি করা জায়েজ। তবে যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়ত না করে থাকেন, তাহলে এটি নফল কোরবানি হিসেবে গণ্য হবে।

কোরবানির স্বাভাবিক গোশতের মতোই সেটি নিজেরাও খেতে পারবেন। আবার আত্মীয়-স্বজনকেও দেয়া যাবে। তবে যদি মৃত ব্যক্তি কোরবানির জন্য অসিয়ত করে যান, তাহলে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে গোশত গরিব-মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ০১/১০৭; ইলাউস সুনান, হাদিস : ১৭/২৬৮)

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে