ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে ৫টি বড় ভুল ধারণা

২০২৫ আগস্ট ১৫ ১১:৫৪:৫৭
অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে ৫টি বড় ভুল ধারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী (Antibiotic Resistance) জীবাণুর সংখ্যা, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল—যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ওষুধ-প্রতিরোধী রোগে প্রাণ হারাতে পারে এক কোটিরও বেশি মানুষ।

এই বিষয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতের হেমরাজ জৈন হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গগন এন জৈন অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে প্রচলিত ৫টি ভুল ধারণা তুলে ধরেছেন এবং এগুলোর বিপরীতে জরুরি সতর্কতা দিয়েছেন।

অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে ৫টি বড় ভুল ধারণা

১. সুস্থ বোধ করলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করা যায়

ডা. জৈন বলেন, “ওষুধ খাওয়ার কয়েকদিন পর শরীর ভালো লাগলেও সংক্রমণ পুরোপুরি নির্মূল না-ও হতে পারে। মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করলে জীবাণুর কিছু অংশ থেকে গিয়ে পরে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারে।”

২. অন্যের বাকি থাকা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া নিরাপদ

“বাকি থাকা কিংবা অন্যের জন্য নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক নিজে খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে,” বলেন তিনি। সংক্রমণের ধরন ভিন্ন হলে ওষুধ হতে পারে অকার্যকর বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ।

৩. সব সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক দরকার

তিনি বলেন, “ঠান্ডা-জ্বর বা ফ্লুর মতো ভাইরাসঘটিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ শুধু শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকেই প্রতিরোধী করে তোলে।”

৪. অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই

“অ্যান্টিবায়োটিক জীবন রক্ষা করতে পারে, তবে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়,” বলেন ডা. জৈন। হালকা থেকে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে—বিশেষ করে ডোজ, সংবেদনশীলতা ও রোগীর অবস্থা ভেদে।

৫. নিজের ইচ্ছায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যায়

ভারতের মতো দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের স্বেচ্ছা ব্যবহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানান তিনি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে স্বেচ্ছাচারিতার হার ৮.৩% থেকে ৯২% পর্যন্ত!

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বাড়ছে কেন?

ডা. জৈনের মতে, শুধু ভুল ও অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নয়, বরং—

দূষিত পানি

দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থা

নিম্নমানের ওষুধ

স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব

—এসবই জীবাণুর ওষুধ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

ডা. জৈন বলেন, “অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলে আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করব যেখানে সামান্য সংক্রমণেও মৃত্যুর আশঙ্কা থাকবে। এটি এক নীরব মহামারি, যার বিরুদ্ধে এখনই সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে।”।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে