ঢাকা, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

জ্বালানি নীতিতে বিস্ফোরক বক্তব্য প্রেসসচিবের

২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৫:৫৫:৪৮
জ্বালানি নীতিতে বিস্ফোরক বক্তব্য প্রেসসচিবের

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ফুলবাড়ী, দিঘীপাড়া ও জামালগঞ্জের মতো বৃহৎ কয়লা মজুত উত্তোলন না করার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বড় ভুল’। জ্বালানি নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় এই ভুল আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন—এটি তার ব্যক্তিগত মত, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নীতি নয়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

শফিকুল আলম বলেন, সরকারে যোগ দেওয়ার পর বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের বাস্তবতা তার কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে।তার ভাষায়—“ইউক্রেন যুদ্ধের পর এলএনজির দাম স্বাভাবিকের পাঁচ থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। ওই দামে এলএনজি কেনা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তখন আমাদের সামনে দুটি পথ ছিল—রিজার্ভ শেষ করে এলএনজি কেনা, কিংবা মাসের পর মাস কারখানা বন্ধ রাখা।”

এই পরিস্থিতিতে ফুলবাড়ীর মতো বৃহৎ কয়লা মজুত untouched রাখা যে ভুল ছিল, তা আরও প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যদি এশিয়ান এনার্জির চুক্তিতে ত্রুটি থাকে, তবে সরকারের উচিত ছিল সেসব ত্রুটি সংশোধন করে বিহেপি বিলিটন বা রিও টিন্টোর মতো বড় অংশীদারের সহায়তা নেওয়া।তিনি স্মরণ করিয়ে দেন—২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬০০–৭০০ ডলার, তাই তৎকালীন বাস্তবতা আজকের মতো ছিল না।

এই পোস্টকে কেন্দ্র করে সমালোচনা আসায় তিনি স্পষ্ট করেন—“আমার মতামত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এটি সরকারের কোনো নীতি বা অবস্থান নয়। আমার জানামতে, বর্তমান সরকারের ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করার কোনো পরিকল্পনাও নেই।”

তিনি আরও জানান, গত দুই দিনে প্রাপ্ত গঠনমূলক সমালোচনাকে তিনি স্বাগত জানান এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

২০০৬ সালের ফুলবাড়ী ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এএফপির সংবাদদাতা হিসেবে তিনিই সম্ভবত প্রথম বিদেশি সাংবাদিক হিসেবে সেই হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ করেছিলেন।তিনি বলেন—“তখনও নিন্দা করেছি, আজও সেই নিন্দাতেই অটল আছি।”

তিনি স্বীকার করেন, বহু বছর ধরে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী আন্দোলন দমনে ‘ট্রিগার-হ্যাপি’ আচরণ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতার চক্র ভাঙতে কঠোর চেষ্টা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বামপন্থীদের মানবাধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন তিনি।তবে অর্থনৈতিক নীতিতে তাদের অবস্থানকে তিনি ‘বাস্তবতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন।

তার মতে—পোশাকশিল্পে শ্রমিককল্যাণ, শিশুশ্রম বন্ধ, নিরাপত্তা মান উন্নয়ন—এসব অগ্রগতি এসেছে মূলত পশ্চিমা ক্রেতা ও ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলোর চাপের কারণে, বামপন্থী আন্দোলনের কারণে নয়।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে