ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

রপ্তানি আয়ে রেকর্ড তবুও পোশাক খাত নিয়ে বড় সতর্কতা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১০:৩২:৫৬
রপ্তানি আয়ে রেকর্ড তবুও পোশাক খাত নিয়ে বড় সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হলেও এর পেছনে পশ্চিমা বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ভবিষ্যতে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৮৪% বেশি। এর আগের বছরে এ আয় ছিল ৩৬.১৫ বিলিয়ন ডলার।

পশ্চিমা বাজার নির্ভরতা কতটা?

ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি: ১৯.৭১ বিলিয়ন ডলার (মোটের ৫০.১০%)

শীর্ষ ইউরোপীয় গন্তব্য: জার্মানি (৪.৯৫ বিলিয়ন ডলার)

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি: ৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার (মোটের ১৯.১৮%), প্রবৃদ্ধি ১৩.৭৯%

অর্থাৎ, বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭০% বাজারই পশ্চিমা অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই একমুখী নির্ভরতা কৌশলগতভাবে বিপজ্জনক।গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ বাবলু বলেন,“পশ্চিমা দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা বা ভোক্তাশক্তির হ্রাস আমাদের রপ্তানি, কারখানা ও বৈদেশিক মুদ্রার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। এটা আমরা দেখেছি ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বমন্দা ও কোভিডের সময়।”

ভোক্তার রুচি, ফ্যাশন ট্রেন্ড বা বাণিজ্য নীতিতে সামান্য পরিবর্তনও বাংলাদেশের হাজারো কারখানার স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,“চীন বছরে ২,৮০০ বিলিয়ন ডলার আর ভারত ৭০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। অথচ আমরা চীনে রপ্তানি করি ১ বিলিয়নেরও কম এবং ভারতে ২ বিলিয়নের মতো। এশিয়ান, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার মোট রপ্তানি মাত্র ১২%।”

তিনি মনে করেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার মতো বাজারে প্রবেশ করলেই বাংলাদেশ ‘ত্রিমাত্রিক সুবিধা’ পাবে—কম ঝুঁকি, নতুন চাহিদা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে