ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সেনাবাহিনীর প্রতি কড়া বার্তা দিলেন নাহিদ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ০৮:৪৩:৪৭
সেনাবাহিনীর প্রতি কড়া বার্তা দিলেন নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্টনে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের (জিআরপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। সংঘর্ষের সময় জিআরপি সভাপতি নুরুল হক নূরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একজন শীর্ষ নেতা নাহিদ সেনাবাহিনীর প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন।

ঘটনার দিন পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতির সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল হঠাৎ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ লাঠিচার্জে জিআরপির সভাপতি নুরুল হক নূরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।নূরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। তার মাথায় আঘাত, নাকের হাড় ভাঙা, ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং নূরের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নূরের চিকিৎসায় সহায়তা দিচ্ছে এবং প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, লাল বা মেরুন টি-শার্ট পরা একজন ব্যক্তি আরেকজনকে মারধর করছেন। অনেকে দাবি করেন, ভিডিওতে মারধরের শিকার হচ্ছেন নূরুল হক নূর।

অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় — ভিডিওর মারধরের শিকার ব্যক্তি নূর নন, তিনি হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আক্তারুজ্জামান সম্রাট।আর মারধরকারী ব্যক্তি হলেন পল্টন থানার কনস্টেবল মিজানুর রহমান, যিনি থানার ওসির গাড়িচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

ঘটনার পর এনসিপি নেতা নাহিদ সেনাবাহিনী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন:"এটি বর্বরতা ছাড়া কিছু নয়। সেনাবাহিনী ও সরকার কাদের নির্দেশে কাজ করছে, সেটি এখন জাতির সামনে স্পষ্ট হওয়া জরুরি।"

নাহিদের বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো:

হামলার নিন্দা: নুরের ওপর হামলাকে "অমানবিক ও বর্বর" হিসেবে উল্লেখ করেন।

সেনাবাহিনীর বিবৃতি: সেনাবাহিনী এই ঘটনাকে "মব ভায়োলেন্স" বা "গণপিটুনি" বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা আরও নেক্কারজনক বলে দাবি করেন তিনি।

ক্ষমা ও দায় স্বীকারের দাবি: সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা বিবৃতি প্রত্যাহার করে, দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।

রাজনৈতিক অবস্থান: আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তাদের দোসরদের "দালাল" আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ৯০-এর পরাজিত শক্তিকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।

নাহিদ আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে তিনি আশাবাদী ছিলেন, যে তারা গণতন্ত্র রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। কিন্তু এমন ঘটনার পর সবাইকে নতুনভাবে ভাবতে হবে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

২৯ আগস্টের ঘটনার ভিডিও, বিভ্রান্তি, রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।নুরুল হক নূর এখনো আইসিইউতে, এবং পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে