ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ম্যারিকোর কাছে সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা পাওনা দাবি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৯:৫২:২৯
ম্যারিকোর কাছে সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা পাওনা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ম্যারিকো বাংলাদেশ সাবেক কর্মীদের ১,৮২৩ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটির এক্স ম্যারিকোনিয়ান এসোসিয়েশন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে এক্স ম্যারিকোনিয়ান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, কোম্পানি বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘন করে সাবেক কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ না করে গড়িমসি করছে। তিনি দাবি করেন, গত ১৭ বছরে সাবেক ১১৩ জন কর্মী কোম্পানির বিরুদ্ধে ঢাকা শ্রম আদালতে দুটি মজুরি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোম্পানিতে কর্মরত সাবেক ১৯ জন ২০১৪ সালে ঢাকা শ্রম আদালত-৩ এ মামলা নং ৬৯১/২০১৪ দায়ের করেন। পরে, ২০২৫ সালের ১২ আগস্ট আরও ৯৪ জন প্রাক্তন শ্রমিক দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন, যা ঢাকা শ্রম আদালত-১ এ বি.এল.এ নং ৮৬৫/২০২৫ হিসেবে নিবন্ধিত।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রম আইনের ২৩৪ ধারায় শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ম্যারিকো বাংলাদেশ এই তহবিল গঠন করেনি। ২০১৪ সাল থেকে তহবিল গঠন শুরু হলেও, সাবেক ১১৩ জন কর্মী এখনও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

প্রাক্তন কর্মীদের দাবি, প্রকাশিত অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী কোম্পানির ৯০ শতাংশ শেয়ার মালিক ম্যারিকো লিমিটেড (ইন্ডিয়া) এই সময় বিপুল মুনাফা ইন্ডিয়াতে রেমিট করেছে। শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই ৩৮৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ১,০৭৭ কোটি টাকা ইন্ডিয়াতে রেমিট হয়েছে। এটি ১৭ বছরের মোট রেমিটযোগ্য অর্থের প্রায় ৩৪ শতাংশ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারেও ৬০০ শতাংশ ডিভিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

এক্স ম্যারিকোনিয়ান অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সাবেক কর্মীরা তাদের বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্য দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কোম্পানিটি ভারতে কোনো মুনাফা পাঠাতে পারবে না।

সাবেক কর্মীরা আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কাজ করার পরও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তারা আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে দুটি স্বনামধন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস ফার্মের মাধ্যমে সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সনদে কোম্পানির বাৎসরিক অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ২৩৪ ও ২৪০(৩) অনুযায়ী তাদের বকেয়া দাবির পরিমাণ ১,৮২৩ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে