ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

হাসিনার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ কেবিন ক্রুদের বিশ্বাসঘাতকতা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১১:১৮:২৯
হাসিনার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ কেবিন ক্রুদের বিশ্বাসঘাতকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্রুদের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে।

একটি ঘটনায় রুদাভা নামে একজন নারী ক্রু সদস্যের কথা বলা হয়েছে, যিনি একটি ফ্লাইট শেষে ফেরার পথে চেকিংয়ের সময় সন্দেহভাজন হন। ধরা পড়ার ভয়ে তিনি টিস্যু পেপারে মোড়ানো সোনা ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করলেও, ভিডিও প্রমাণ দেখানোর পর তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন।

আরেকটি ঘটনায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস মরজিনা আক্তার আলীনকে জড়িত দেখা যায়। তার নিজের দেওয়া একটি লিখিত বিবৃতি অনুযায়ী, তিনি ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি জেদ্দা-সিলেট-ঢাকা রুটের বিজি-২৩৬ ফ্লাইটের দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকায় অবতরণ করেন। গ্রিন চ্যানেল এলাকায় কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে তল্লাশি করে ১১৬ গ্রাম ওজনের একটি সোনার চুড়ি উদ্ধার করেন, যার কোনো বৈধ রশিদ তিনি দেখাতে পারেননি। মিরপুরের নিউ ইসলাম জুয়েলার্স-এর প্রাথমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় যে এটি ২৪ ক্যারেটের সোনা ছিল।

এছাড়াও, ২০২৫ সালের ১২ মে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৪০ ফ্লাইটের ক্রু হোসনে আরার কাছ থেকে ১১৫ গ্রাম ওজনের তিনটি সোনার কাঁচা চুড়ি উদ্ধার করে কাস্টমস। এই সোনারও কোনো বৈধ রশিদ ছিল না।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি পৃথক ঘটনায়, কাস্টমস কর্মকর্তারা নারী ক্রু নুসরাত জাহানের কাছ থেকে ১ লিটার অ্যাবসোলুট ভদকা এবং আব্দুল্লাহ আল আবুবাকার নামে আরেক ক্রু সদস্যের কাছ থেকে দুই বোতল গর্ডন'স জিন উদ্ধার করেন।

বর্তমানে চারজন নারী কেবিন ক্রু সোনা চোরাচালানের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি রয়েছেন এবং তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। বিমানের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। এই উদ্বেগের সাথে শেষ হয় যে, সোনা এবং মাদক চোরাচালানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্রুদের জড়িত থাকা এখন অনেকটা 'ওপেন সিক্রেট' বা প্রকাশ্য রহস্যে পরিণত হয়েছে।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে