ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

কামালের বাসায় ৯ কর্মকর্তা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক আইজি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১১:৫৬:৪৪
কামালের বাসায় ৯ কর্মকর্তা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক আইজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন—দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার দ্বিতীয় দিনের জেরায় রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হয়ে সাবেক আইজিপি মামুন জানান, আওয়ামীপন্থী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়মিতভাবে চেইন অব কমান্ড ভেঙে গোপনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক করতেন।

সাবেক আইজিপির দাবি অনুযায়ী, যেসব কর্মকর্তারা নিয়মিত বৈঠকে অংশ নিতেন তাদের মধ্যে ছিলেন:

তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান

ডিবির হারুন অর রশীদ

এসবির মনিরুল ইসলাম

ডিআইজি নুরুল ইসলাম

বিপ্লব কুমার

অ্যাডিশনাল এসপি কাফি

এসি মাজাহার ও ফরমান

ওসি অপূর্ব হাসান

তিনি বলেন, “বৈঠকগুলোর তথ্য বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে আমার কাছে আসতো।”বৃহস্পতিবার মামুনের দ্বিতীয় দিনের জেরা শেষ হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, বিএম সুলতান মাহমুদ, তারেক আবদুল্লাহ ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

সাবেক আইজিপি মামুন আরও বলেন, ‘সোয়াত’ ইউনিটে স্নাইপার সংযোজন করা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণও পেয়েছিল। তবে এই অস্ত্র জুলাই আন্দোলন দমনে ব্যবহৃত হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত ক্রসফায়ার, গুম ও আটক সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএম অফিস) থেকে আসত। এর অনেক কিছুই তিনি আইজিপি থাকার সময়েও জানতেন না।

মামুনের মতে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পুলিশে রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেড়ে যায়। ডিএমপির হাবিব ও এসবির মনিরুলের নেতৃত্বে দুটি দল গড়ে ওঠে, যারা ক্ষমতাসীন নেতাদের আনুকূল্য পেতে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করত। তাদের সঙ্গে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

এর আগে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মামুন বলেন,“শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানো হয়। এত বড় গণহত্যা আমার দায়িত্বকালীন সময়ে সংঘটিত হয়েছে, এর দায় আমি স্বীকার করছি।”

গত মঙ্গলবার, মামলার প্রথম দিন, মামুন রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হিসেবে জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতা তাকে মর্মাহত করে এবং বিবেকের তাড়নায় তিনি স্বেচ্ছায় সাক্ষী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মামলায় তিনিই ৩৬তম সাক্ষী।

প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, মামলায় বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দি। এরপরই শুরু হবে মামলার যুক্তিতর্ক পর্ব।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে