ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বোরকা পরে পালানোর সময় ধরা ‘অষ্টম শ্রেণি পাশ’ চিকিৎসক

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ২৩:০৩:৩৪
বোরকা পরে পালানোর সময় ধরা ‘অষ্টম শ্রেণি পাশ’ চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস করা এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন (প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার) চালিয়ে আসছিলেন। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর নগরীতে।

বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ধাপ এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম প্রশান্ত রায় (৩০)। ধরা পড়ার পর তিনি বোরকা পরে টয়লেটে লুকিয়ে থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাননি।

জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে অংশ নেয়। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মিশু প্রশান্ত রায়কে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের মালিক সামসুদ তিবরীজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীনা সুলতানা জানান, অভিযানের সময় ওটিতে এক প্রসূতি মায়ের সিজার সম্পন্ন করে সেলাই দিচ্ছিলেন ওই যুবক। প্রথমে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করলেও পরে স্বীকার করেন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণি পাস করেছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালটির লাইসেন্স পাঁচ বছর ধরে নবায়ন করা হয়নি। নেই পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বৈধ কোনো নথিপত্রও। অথচ জটিল অস্ত্রোপচারসহ নানা চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পৌঁছালে অভিযুক্ত যুবক বোরকা পরে টয়লেটে লুকান এবং পালানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাকে সেখান থেকে বের করে আদালতের সামনে হাজির করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ময়না বেগম (২৬) নামের এক প্রসূতিকে ওই দিন সকালে ভর্তি করা হয়। অল্প সময় পর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় এবং সেখানে সিজার অপারেশন চালান প্রশান্ত রায়।

এই ঘটনায় রংপুরজুড়ে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, অযোগ্য ও ভুয়া চিকিৎসকের হাতে প্রাণঘাতী ঝুঁকিতে পড়ছে রোগীরা।

মারুফ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে