ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

রেকর্ড উত্থানের দিনেও ৮ খাতের শেয়ারে ‘ঘোর অমানিশা’

২০২৫ জুলাই ৩১ ১৯:৩১:৩৭
রেকর্ড উত্থানের দিনেও ৮ খাতের শেয়ারে ‘ঘোর অমানিশা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে রেকর্ড পরিমাণ উত্থান দেখা গেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। একই সাথে লেনদেনের পরিমাণও গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তবে এই ইতিবাচক চিত্রের আড়ালে লুকায়িত ছিল এক ভিন্ন বাস্তবতা। রেকর্ড উত্থানের এই দিনেও লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে। ফলশ্রুতিতে বাজারের একটি বড় অংশ ছিল অন্ধকারে আচ্ছন্ন। বিশেষ করে আটটি গুরুত্বপূর্ণ খাত মারাত্মক পতনের শিকার হয়েছে। এই খাতগুলো হলো: জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, জীবন বীমা ইন্স্যুরেন্স, বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্যানারি, সিরামিক এবং বিবিধ খাত। আমারস্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিনের লেনদেনে সবচেয়ে বেশি পতনের শিকার হয়েছে ট্যানারি খাত। এই খাতে ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে, যা মোট কোম্পানির ৮৩.৩৩ শতাংশ। বিপরীতে মাত্র একটি কোম্পানি বা ১৭.৬৭ শতাংশ শেয়ারের দর কিছুটা বেড়েছে।

পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাত। এই খাতের মোট ২৬টি কোম্পানি বা ৬১.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে, যেখানে মাত্র ১৩টি কোম্পানি বা ৩০.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।

জীবন বীমা খাতও পতনের শিকার হয়েছে। এই খাতের ৮টি কোম্পানি বা ৫৭.১৪ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে, যদিও ৫টি কোম্পানি বা ৩৫.৭০ শতাংশ শেয়ারের দর কিছুটা বেড়েছে।

এছাড়া, বস্ত্র খাতের ৩৩টি কোম্পানি বা ৫৬.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে এবং ১৩টি কোম্পানি বা ৩০.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সিরামিক খাতের ৩টি কোম্পানি বা ৬০ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে, যেখানে ১টি কোম্পানি বা ৪০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।

এই চিত্র থেকে স্পষ্ট যে, বাজারের সামগ্রিক সূচক বৃদ্ধি পেলেও এর সুবিধা সব খাতের শেয়ারে সমভাবে প্রতিফলিত হয়নি। বরং একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বড় মূলধনী শেয়ারের দর বৃদ্ধির ফলেই সূচকের এই উল্লম্ফন ঘটেছে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেক বিনিয়োগকারী আশঙ্কা করছেন যে, এই ধরনের অসম বৃদ্ধি বাজারের টেকসই স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক নয় এবং ভবিষ্যতে একটি বড় ধরনের সংশোধনীর কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারকে আরও স্থিতিশীল করতে হলে শুধু নির্দিষ্ট কিছু খাতের ওপর নির্ভর না করে সকল খাতের সামগ্রিক উন্নতি প্রয়োজন। এই পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে – একদিকে রেকর্ড উত্থানের আনন্দ, অন্যদিকে অধিকাংশ খাতের দুর্বল পারফরম্যান্স নিয়ে এক অজানা শঙ্কা।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে