ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
Sharenews24

স্বামী টাকাওয়ালা হলে স্ত্রীর হজ ফরজ ? ইসলাম যা বলে

২০২৫ মে ২২ ১১:০১:১৪
স্বামী টাকাওয়ালা হলে স্ত্রীর হজ ফরজ ? ইসলাম যা বলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। শরিয়তের দৃষ্টিতে, নারী-পুরুষ যেকোনো মুসলমান যদি শারীরিক ও আর্থিকভাবে হজের সামর্থ্য রাখেন, তাহলে জীবনে একবার হজ করা তাদের জন্য ফরজ।

আল্লাহতায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেছেন: "মানুষের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই ঘরের (কাবা) হজ করা ফরজ।" — (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ৯৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন “হে মানুষ! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন, তাই হজ করো।” (সহিহ বুখারি: ৭২৮৮)

নারী ও হজ: কবে ফরজ হয়?

নারীর ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত পূরণ হতে হয়:

আর্থিক সামর্থ্য: নারী নিজে হজে যাওয়ার খরচ চালাতে সক্ষম হতে হবে।

মাহরাম থাকা: হজের সফরে নারীর সঙ্গে মাহরাম (স্বামী, বাবা, ভাই বা অন্য বৈধ আত্মীয় পুরুষ) থাকতে হবে।

যদি নারীর সম্পদ থাকে কিন্তু মাহরাম না থাকে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ হয় না।

কোনো নারী নিজে সম্পদশালী না হলেও যদি তার স্বামী, বাবা বা ভাই সম্পদশালী হন, তবুও হজ তার ওপর ফরজ হয় না। অর্থাৎ, হজ ফরজ হওয়ার জন্য নিজের সম্পদের মালিক হওয়া জরুরি।

স্বামীর টাকায় হজ করলে কি ফরজ আদায় হবে?

হ্যাঁ, যদি কোনো নারী নিজের আর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও স্বামী, বাবা বা ভাইয়ের টাকায় হজ করে, তবে হজ শুদ্ধ হবে এবং ফরজ হজ হিসেবে গণ্য হবে (যদি এখনো তার ফরজ হজ আদায় না হয়ে থাকে)।

শরিয়তে নারীর মাহরাম ছাড়া ৪৮ মাইল বা ৭৭ কিলোমিটারের বেশি সফর করা নাজায়েজ (হারাম)। হজের ক্ষেত্রেও এই বিধান প্রযোজ্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন: “কোনো নারী মাহরাম ছাড়া সফর করবে না।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

তবে, যদি কোনো নারী মাহরাম ছাড়া হজ করে ফেলেন, তাহলে হজ শুদ্ধ হবে, কিন্তু মাহরাম ছাড়া সফর করায় তিনি গুনাহগার হবেন।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে