ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

পরিবারসহ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন এস আলম

২০২৪ আগস্ট ২৬ ১৫:২৯:৫৭
পরিবারসহ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন এস আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক : এস আলম গ্রুপের মালিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদসহ (এস আলম) তার পরিবারের সদস্যরা দুই বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন। তবে নিজেদেরকে বিদেশী বিনিয়োগকারী দেখিয়ে বাগিয়ে নেন স্থায়ী বসবাসের (permanent residence) অনুমতি। পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন- এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের তিন ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির।

এস আলমের বিরুদ্ধে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে এক লাখ কোটি টাকা লুটের অভিযোগ আছে। বেনামে ও কাগুজে কোম্পানি খুলে তিনি এই টাকা সরিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। শুধু ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকেই তার পরিবার ৭৫ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে অবাধে টাকা লুট করে বিদেশে পাচারের সুবিধা এবং সহজে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখতে চক্রটি এই পথ বেছে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আশীর্বাদ ও সম্মতিতে এমন কাণ্ড ঘটাতে পেরেছেন এস আলম ও তার পরিবার।

জানা যায়, ব্যাংকিং খাতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর সপরিবারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেন এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের তিন ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির। একই দিন বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সিয়াল) অনুমোদন পায় পরিবারটি।

তথ্য অনুসারে, এস আলস পরিবার যেদিন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন, সেইদিনই আবার বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলেন। নাগরিকত্ব ত্যাগ ও স্থায়ী আবাসিক সুবিধা গ্রহণ বাংলাদেশে জটিল প্রক্রিয়া হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই দিন সন্ধ্যায় অতি গোপনে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই কাজটি করা হয়।

তবে নাগরিকত্ব ত্যাগ ও আবাসিক সুবিধা গ্রহণ করতে হলে পুলিশের বিশেষ শাখার ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হলেও কীভাবে একই দিনে দুটি কাজ সম্পন্ন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এস/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে