ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

ছয় মাসে মূলধনের বেশি লোকসান ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের

২০২৫ আগস্ট ০৬ ০০:২৫:৫৩
ছয় মাসে মূলধনের বেশি লোকসান ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি–জুন) ১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা সমন্বিত লোকসান হয়েছে। অথচ গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৯০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২০৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

ব্যাংকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিপুল লোকসানের কারণে শেয়ার প্রতি আয় লোকসান হয়েছে ১৪ টাকা ০১ পয়সা। এছাড়া, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৮৯ শতাংশ কমে মাত্র ২ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে এসেছে, যা ২০২৪ সালে ছিল ২১ টাকা ৪৪ পয়সা।

অপারেটিং নগদ অর্থের সংকট

ছয় মাস মেয়াদে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ২ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা ছিল, যা তাদের নগদ অর্থের তীব্র সংকট নির্দেশ করে। শুধু এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটি ১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা লোকসান করেছে, যেখানে গত বছর একই সময়ে তাদের ৫৩ কোটি টাকা মুনাফা ছিল।

ব্যাংকটি জানায়, এই বিশাল লোকসানের প্রধান কারণ হলো শ্রেণিকৃত বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এর ফলে গত বছরের তুলনায় নিট বিনিয়োগ আয় ১ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা কমেছে।

শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব

বড় লোকসানের কারণে ব্যাংকের ধরে রাখা মুনাফা (retained earnings) ১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা কমে ঋণাত্মক ২ হাজার১৬৬ কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। এতে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনিএভি) ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়াও, গ্রাহকদের আমানত এবং অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অর্থ ৪ হাজার ১১৩ কোটি টাকা কমে যাওয়ায় সমন্বিত নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়েছে।

বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ

ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের তথ্য না থাকলেও ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তাদের মোট খেলাপি ঋণ ৫৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, যা তাদের মোট বিতরণ করা ঋণের ৯২ শতাংশ।

ছোট মূলধনী কোম্পানির বড় চমক

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ৪৭ হাজার ৮৬২ কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতি ছিল, যার কারণে পরিচালনা পর্ষদ ঐ বছরের জন্য কোনো ডিভেডেন্ড ঘোষণা করেনি।

উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পাঁচ সদস্যের পর্ষদ গঠন করে। বলা হয়, এস আলম গ্রুপ, যারা ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রক ছিল, তারা নিয়োগ ও ঋণ বিতরণে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদ ভেঙে দেয়।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে