ঢাকা, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

গাজায় দ্রুত আসছে নতুন প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্র

২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১০:৫৫:৩০
গাজায় দ্রুত আসছে নতুন প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান বন্ধে এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ফেরাতে এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি ঘোষণা করেছেন, গাজার জন্য খুব দ্রুতই একটি নতুন শাসন কাঠামো কার্যকর হতে যাচ্ছে, যা মূলত একটি ‘আন্তর্জাতিক পরিষদ’ এবং ফিলিস্তিনি ‘টেকনোক্র্যাটদের’ (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে মার্কো রুবিও স্পষ্ট করে বলেন, গাজার বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অনির্দিষ্টকাল চলতে দেওয়া সম্ভব নয়। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি শান্তি চুক্তি হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলি হামলা থামেনি, আর হামাসও অনেক জায়গায় পুনরায় নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই চক্র ভাঙতেই ওয়াশিংটন এখন গাজায় ‘বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি পরিষদ এবং দক্ষ ফিলিস্তিনিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক সংস্থা গঠনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাজায় পাঠানো হবে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ বা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ)। সম্প্রতি দোহায় মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এ বিষয়ে সহযোগী দেশগুলোর সাথে একটি বৈঠকও করেছে। যদিও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি এখনো অস্পষ্ট, তবুও আগামী মাসের মধ্যেই এই আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানসহ বেশ কিছু দেশ এই বাহিনীতে যোগ দিতে প্রাথমিক আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান রুবিও।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গাজার প্রশাসনিক কাজের জন্য দক্ষ ফিলিস্তিনিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ না বললেও এই পরিবর্তন ‘খুব শিগগিরই’ ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সৈন্য পাঠাতে আগ্রহী দেশগুলো অবশ্য এই মিশনের নির্দিষ্ট কাজের পরিধি এবং অর্থায়ন নিয়ে আরও স্বচ্ছতা দাবি করেছে, যা নিয়ে আলোচনা চলমান।

গাজার ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন প্রসঙ্গে রুবিও যুক্তি দেন যে, সেখানে আগে নিরাপত্তা ও একটি গ্রহণযোগ্য শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। তার মতে, দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা ছাড়া দাতা দেশগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না। মূলত গাজাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে আনতে এবং দাতা দেশগুলোর আস্থা অর্জন করতেই যুক্তরাষ্ট্র এই ত্রিস্তরীয় (শাসন, নিরাপত্তা ও পুনর্গঠন) পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে