ঢাকা, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ইমরান-বুশরার ১৭ বছরের কারাদণ্ড

২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৭:০০:০৯
ইমরান-বুশরার ১৭ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় অতিথিদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের উভয়ের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে।

শনিবার রাজধানী ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালত (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট) এই রায় ঘোষণা করেন স্পেশাল জজ শাহরুখ আরজুমান্দ। আদালত সূত্রে জানা গেছে, তোশাখানা সংক্রান্ত দুটি পৃথক মামলার রায় একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে প্রত্যেককে ১ কোটি ৬৪ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানা দিতে হবে।

নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে আদিয়ালা কারাগারের ভেতরেই আদালতের এজলাস বসানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। প্রায় দেড় বছর পর, ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরুতে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হলেও পরে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগেও তোশাখানা সংক্রান্ত এক মামলায় নিম্ন আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তবে সে সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ওই সাজা বাতিল করে দেন।

তোশাখানা অভিযোগের পটভূমি

পাকিস্তানে ১৯৭০-এর দশকে রাষ্ট্রীয় উপহার সংরক্ষণের জন্য সরকারি বিভাগ হিসেবে তোশাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে যে উপহার পান, তা বাধ্যতামূলকভাবে তোশাখানায় জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, এসব উপহার পরবর্তীতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিনে নিতে পারেন। যদিও ওই মূল্য তুলনামূলকভাবে কম, তবে উপহার কেনার পর তা বিক্রি করা আইনত নিষিদ্ধ নয়— যদিও পাকিস্তানে বিষয়টি নৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০২১ সালে। পরে ২০২২ সালের আগস্টে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতা মোহসিন নওয়াজ রানঝা নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান খান বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোট ৫৮টি মূল্যবান উপহার গ্রহণ করেন। এর মধ্যে সব উপহার তোশাখানায় জমা দেওয়া হয়নি। যেগুলো জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম মূল্যে কিনে পরে বাইরে বিক্রি করা হয়।

বিক্রি করা উপহারগুলোর মধ্যে একাধিক দামি হাতঘড়িও ছিল, যেগুলোর মোট আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ পাকিস্তানি রুপি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে