ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ঢাবি ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে ৩ হাজার টাকা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১২:২৯:০৫
ঢাবি ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে ৩ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলে আবাসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক উমামা ফাতেমার আবেদনের ভিত্তিতে ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা চালু করে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে ৫৮৩ জন ছাত্রীকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে।

অসচ্ছল ছাত্রীদের সহায়তার লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তত্ত্বাবধানে এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একটি উদ্যোগ।

কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন—সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছালমা নাছরীন, হিসাব পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিসেস শিউলি আফসার এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা।

উমামা ফাতেমা বলেন, “পাঁচ আগস্টের পর বহু ছাত্রী আবাসন সংকটে পড়ে। অনেকেই বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকার মতো আর্থিক সামর্থ্য রাখে না। সেই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। পরবর্তীতে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানালে, তারা একটি কমিটি গঠন করে এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে।”

তবে তিনি অভিযোগ করেন, “এখনও অনেক শিক্ষার্থী এই সহায়তা পাচ্ছেন না এবং অনেকের আবাসন সংকট রয়ে গেছে।”

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এই সহায়তা আপৎকালীন। আমাদের প্রায় ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী, অথচ আবাসিক হল রয়েছে মাত্র ৫টি। অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসে, ঢাকায় আত্মীয়স্বজন নেই, টিউশনিও শুরু করতে পারে না। এসব মিলিয়ে তাদের জীবনযাত্রা কঠিন।”

তিনি আরও জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও আমরা এই সহায়তা চালু করেছি। ভবিষ্যতে এটি বিস্তৃত করে আরও শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

উপাচার্য জানান, চীনের অর্থায়নে একটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া, আরও চারটি ছাত্রী হল এবং পাঁচটি ছাত্র হল নির্মাণের একটি বড় প্রকল্প একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাবিতে আবাসন সংকট অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে