ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

নীরব থেকেও রাজনীতিতে বড় বার্তা দিলেন তারেক রহমান

২০২৫ আগস্ট ১৭ ১০:২১:০২
নীরব থেকেও রাজনীতিতে বড় বার্তা দিলেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক নতুন ধরনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করছেন, যেখানে আত্মসংযম এবং কৌশলগত নীরবতা প্রাধান্য পাচ্ছে। সম্প্রতি তার মা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন অনাড়ম্বরভাবে পালনের মধ্য দিয়ে এই বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলেও, এ বছর তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা বা ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেননি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নীরবতা নিছক অনুপস্থিতি নয়, বরং এটি একটি সুচিন্তিত রাজনৈতিক বার্তা। তাদের মতে, তারেক রহমান প্রচারের চেয়ে পরিকল্পনা, আবেগের চেয়ে শৃঙ্খলা এবং প্রতিশ্রুতির চেয়ে কর্মকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারেক রহমান নিজের জন্মদিনও নীরবে পালন করেছেন। কোনো ধরনের উৎসব, পোস্টার, বিলবোর্ড বা কেক কাটার আয়োজন দেখা যায়নি। এই আত্মসংযম ও সাধারণ জীবনযাপন তাকে রাজনীতির এক ভিন্নধর্মী চরিত্রে পরিণত করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, তারেক রহমানের এই 'নীরব রাজনীতি' বাংলাদেশে একটি দৃঢ়, দায়িত্বশীল ও সুপরিকল্পিত নেতৃত্বের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। তার রাজনৈতিক জীবন পারিবারিক সূত্রে শুরু হলেও, সময়ের সাথে সাথে তিনি নিজেকে একজন স্বতন্ত্র নেতা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি শুধু দলের ইতিহাস বা নামের ওপর নির্ভর না করে, নিজের ব্যক্তিত্ব, দূরদর্শিতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে বিএনপিকে পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করছেন।

দলের অভ্যন্তরীণ নেতাকর্মীরা বলছেন, সময় ও অভিজ্ঞতা তারেক রহমানকে আরও পরিণত, শান্ত ও সহনশীল করে তুলেছে। তিনি এখন হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কৌশল নির্ধারণ করেন। দলকে আধুনিক করতে তিনি প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম, যেমন ভার্চুয়াল মিটিং এবং অনলাইন প্রশিক্ষণের সূচনা করেছেন।

একজন কেন্দ্রীয় নেতার মতে, তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, ঠিক যেমনটি তার পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান করেছিলেন।

বর্তমানে যখন রাজনীতিতে ব্যক্তিগত প্রচার, সামাজিক মাধ্যমের শোরগোল এবং প্রতিপক্ষকে দমন করার প্রবণতা বেশি, তখন তারেক রহমানের এই সংযমী ভূমিকা এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার মধ্যে অহংকার বা প্রতিহিংসার বদলে লক্ষ্য, পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায়ই বেশি দেখা যায়। এই গুণাবলীই তাকে দলের তরুণ প্রজন্মের কাছে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। তারা বিশ্বাস করে, তারেক রহমান ধাপে ধাপে দলকে শক্তিশালী করে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চান।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে