ঢাকা, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

প্রশংসায় ভাসছে জামায়াত আমির

২০২৫ জুলাই ১৯ ১৯:২৭:২১
প্রশংসায় ভাসছে জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লাখো মানুষ। উত্তপ্ত গ্রীষ্মের দুপুর, ভ্যাপসা গরমে যখন অনেকেই ক্লান্ত, তখন একজন মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন দৃঢ় মনোবলে, এক চূড়ান্ত দায়বদ্ধতায়। তিনি শুধু নেতা নন, যেন এ সময়ের এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বক্তৃতা দিতে গিয়ে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনবার পড়ে গিয়েছেন মঞ্চে। কিন্তু তবুও থামেননি। শেষ পর্যন্ত বসে থেকেই বক্তব্য চালিয়ে গেছেন। উপস্থিত জনতার চোখে-মুখে তখন শুধু বিস্ময় নয়, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আবেগ—সব মিলিয়ে এক অকল্পনীয় মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছিল।

তার কণ্ঠে ছিল না একটুও ক্লান্তি, বরং প্রতিটি শব্দে ফুটে উঠছিল এক জাতির প্রতি অগাধ মমতা, দায়িত্ববোধ ও ঈমানদীপ্ত চেতনা। তিনি বলেন, "এই দেশ, এই মানুষ, এই দায়িত্ব—এটা শুধু রাজনৈতিক কোনো কাজ নয়। এটা আমার ইমানের অংশ।"

শ্রোতারা শুধু তাকে শোনেননি, যেন তার প্রতিটি বাক্য হৃদয়ে ধারণ করেছেন। অনেকেই চোখ মুছেছেন, অনেকে বলেছেন—“এটাই তো নেতার পরিচয়”।

৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও তার কণ্ঠে, চোখে-মুখে ছিল এক ধরনের অবিচল তারুণ্য। হাজারো ক্যামেরা, লাইভ ভিডিও আর সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় তার বক্তব্যের দৃশ্য। ফেসবুক-টুইটারজুড়ে প্রশংসার ঝড় উঠে—"একজন সত্যিকারের নেতা কেমন হওয়া উচিত, আজ তা দেখলাম",—এমন মন্তব্যে ভরে ওঠে কমেন্টবক্স।

রাজনীতি, মতাদর্শ—সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে এমন আত্মত্যাগের নজির কমই দেখা যায়। এই ঘটনার পর অনেকেই মনে করছেন, জামায়াতের এই আমির শুধু দলের নেতা নন, তিনি হয়ে উঠেছেন এই প্রজন্মের কাছে আত্মত্যাগ, দায়িত্ব ও অটুট বিশ্বাসের এক মূর্ত প্রতীক।

এই সমাবেশের মাধ্যমে বহু বছর পর রাজধানীতে জামায়াত একটি উন্মুক্ত জনসমাবেশ করতে পেরেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমানের এমন ভূমিকা দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে ভীষণ রকম উৎসাহ তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেন,“এই দেশে বহু নেতা এসেছেন, অনেকে চিৎকার করেছেন, অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এমন একজন নেতা—যিনি পড়ে গিয়েও দাঁড়ান, থেমে না গিয়ে সামনে এগিয়ে চলেন—তাঁরা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেন।”

সমাবেশ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় অসংখ্য মানুষ তাঁর সুস্থতা কামনায় পোস্ট করছেন। কেউ লিখছেন,“আল্লাহ এই মানুষটিকে হেফাজত করুন, কারণ এমন নেতার প্রয়োজন এই জাতির।”আরও কেউ লিখেছেন, “শরীরটা তাঁর দুর্বল হলেও মনটা পাহাড়ের মতো শক্ত।”

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে