ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

হুমায়ূন আহমেদের বৃষ্টি বিলাসে এখন ভাতের হোটেল

২০২৫ জুলাই ১৮ ১৪:৪৬:০৭
হুমায়ূন আহমেদের বৃষ্টি বিলাসে এখন ভাতের হোটেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত নুহাশ পল্লী, প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের এক স্বপ্নীল সৃষ্টি। এটি শুধুমাত্র একটি বাগানবাড়ি নয়, বরং লেখকের শিল্প ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার জীবন্ত প্রদর্শনী। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত ও প্রকৃতিপ্রেমীরা নুহাশ পল্লী ভ্রমণে আসেন।

নুহাশ পল্লীর কর্মচারীদের স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সহজ-সরল ও খেয়ালি স্বভাবের মানুষ। তিনি গরুর মাংস এবং দেশি মুরগির প্রতি বিশেষ আকর্ষণী ছিলেন, যা চিকিৎসকের নিষেধ সত্ত্বেও খেতে ভালোবাসতেন। কর্মচারীরা জানান, অনেক সময় তাঁরা হুমায়ূন আহমেদকে স্বপ্নে দেখতে পান, যেখানে তিনি দীঘির পাড়ে বসে উজ্জ্বল মুখে আছেন।

নুহাশ পল্লী সারা বছর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও বিশেষভাবে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন (১৩ নভেম্বর) এবং মৃত্যুবার্ষিকী (১৯ জুলাই) তে প্রবেশ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এই দুই দিনে প্রায় ২-৩ হাজার দর্শক এখানে আসেন লেখকের স্মরণে। সাধারণ ছুটির দিনগুলোতেও দর্শক সমাগম বেশি থাকে।

প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা, যেখানে দশ বছরের নিচের শিশুদের জন্য প্রবেশ ফ্রি। সাধারণত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নুহাশ পল্লী দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে, আর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। যদিও এখানে নিজস্ব ক্যান্টিন নেই, তবে আগেভাগে যোগাযোগ করলে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, যার জন্য জনপ্রতি ৩০০ টাকা চার্জ নেওয়া হয়। খাবারে মুরগির মাংসসহ বিভিন্ন পদ থাকে। এছাড়া এখানে বাংলো রয়েছে, যেখানে পাঁচটি কক্ষ রয়েছে থাকার জন্য।

নুহাশ পল্লীর আয়ের প্রধান উৎস হলো প্রবেশ মূল্য, যা এখানকার ১১ জন কর্মচারীর বেতন, খাবার, বিদ্যুৎ বিল ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। আয়ের একটি অংশ হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ স্কুলের জন্যও ব্যবহৃত হয়।

নুহাশ পল্লী কেবল দর্শনীয় স্থান নয়, এটি হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি ও দর্শনের এক অমর প্রতিচ্ছবি। এখানকার প্রতিটি গাছ, ভাস্কর্য ও স্থাপনা লেখকের উপস্থিতি অনুভব করায়।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে