ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এস আলম গ্রুপের ১.২৫ লাখ কোটি টাকা পাচার, গভর্নরের বক্তব্যে চাঞ্চল্য

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১১ ১২:৫৩:২৬
এস আলম গ্রুপের ১.২৫ লাখ কোটি টাকা পাচার, গভর্নরের বক্তব্যে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, তার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে একটি বড় তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও তার সহযোগীরা কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে গভর্নর এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গভর্নরের মতে, যদিও কত টাকা পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন, তবে তিনি নিশ্চিত যে পাচারকৃত টাকার পরিমাণ কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার সমান। এই বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের ঘটনায় দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম ও অর্থনীতি গভীর সংকটের মধ্যে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও জানান, বর্তমান সময়ে দেশের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। ২০২৪ এবং ২০২৫ সালটি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আদর্শ সময় হবে না, বরং মূল লক্ষ্য হবে মূল্যস্ফীতি কমানো। গভর্নরের আশা, আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে, এবং এরপর এটি আরও কমে ৫ শতাংশের নিচে নামবে। তবে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামার আগে সুদহার কমানো হবে না, এটা স্পষ্ট করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ব্যাংক খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে গভর্নর জানান যে এটি চলমান রয়েছে এবং এই সংস্কারের সুফল পেতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং পরিচালক নিয়োগের নীতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ চলছে, যাতে ভবিষ্যতে ব্যাংক খাত আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, আগামীতে মামাতো-চাচাতো ভাইরা ব্যাংক খাতের স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না, একটি কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।

এছাড়া, নতুন মুদ্রানীতির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৮ শতাংশ রাখা হয়েছে, যা গত বছরের ডিসেম্বরে ৭.২৮ শতাংশ ছিল। তবে, সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ১৭.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে, যা গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮.১ শতাংশ ছিল।

এবং, মুদ্রানীতি সম্পর্কে ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ মানির প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ১ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নিয়েছে, যা গত জুনে ৭.৯ শতাংশ ছিল এবং ডিসেম্বরে তা ২ শতাংশে নামানো হয়েছিল।

এই নতুন মুদ্রানীতি এবং এস আলম গ্রুপের পাচারের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক সংকটের দিকেও ইঙ্গিত করছে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে