ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে ‘স্ত্রী’র যত অভিযোগ

২০২৫ জুলাই ১১ ১০:০৬:১৩
এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে ‘স্ত্রী’র যত অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে হুমকি, তালাক এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার হাসি (২৫)।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া বলেন, স্বামী রাজিন সালেহ (৩১) তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন। একমাত্র আড়াই বছরের মেয়েকেও কৌশলে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পুরোনো তারিখে তালাক দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন হাসি।

২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সুমাইয়ার বিয়ে হয় তারাকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে রাজিন সালেহর সঙ্গে। রাজিন পেশায় একজন মাদ্রাসার কম্পিউটার অপারেটর হলেও বর্তমানে এনসিপির পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সুমাইয়া অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন। ভরণপোষণও দিতেন না। একাধিকবার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পর আবারও ফেরত নিয়ে গিয়ে একই আচরণ চালিয়ে যান। এমন অবস্থায় ৩০ জুন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।

অভিযোগপত্রে সুমাইয়া উল্লেখ করেন, রাজিন সালেহ তাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “আমি এখন বড় নেতা, দেশ চালাই, যা বলব তাই হবে।” তিনি ইউএনওর কাছে শান্তিপূর্ণভাবে স্বামীর সংসারে ফিরে যাওয়ার জন্য তদন্ত ও সহযোগিতা চান।

এদিকে, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ২৯ জুন রাজিন সালেহকে পাকুন্দিয়া উপজেলার ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়। এর মাত্র দুই দিন আগেই, ২৭ জুন সালেহ একটি নোটারির মাধ্যমে তালাকনামা এফিডেভিট করেন এবং তা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ৩ জুলাই পাঠানো হয়। যদিও সুমাইয়া বলেন, তিনি ওই নোটিশ গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে রাজিন সালেহ বলেন, “হাসির আচরণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। বনিবনা হচ্ছিল না, তাই তালাক দিয়েছি।” তাঁর দাবি, একটি রাজনৈতিক মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে।

পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর সালেহকে মীমাংসার জন্য ডাকা হয়েছিল। পরে জানা যায়, তিনি আগেই তালাক দিয়েছেন। ফলে বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ায় আছে।”

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে