ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

১৭ কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বাম্পার রিটার্ন

২০২৫ জুলাই ০৫ ২০:১৫:৫৬
১৭ কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বাম্পার রিটার্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত এক মাস যাবত দেশের শেয়ারবাজারের ইতিবাচক ধারায় চলছে। গত ৩ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৪ হাজার ৬৬৪.৭৯ পয়েন্ট, যা বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেড়ে ৪ হাজার ৮৯৪.০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই এক মাসে সূচক বেড়েছে ২২৯.২৭ পয়েন্ট, যা বাজারের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে নির্দেশ করে।

বাজারের এই অনুকূল পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা অর্জন করেছেন, যা ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য মুনাফা সুযোগ তৈরি করেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর কারণে সূচক বেড়েছে। সার্বিকভাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দাম তেমন একটা বাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে মাসের ব্যবধানে ২০ শতাংশ মুনাফা বিনিয়োগকারীদের বাম্পার রিটার্ন দিয়েছে।

বাম্পার রিটার্নের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দেশ গার্মেন্টস, ইন্দোবাংলা ফার্মা, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ইয়াকিন পলিমার, ইসলামী ব্যাংক, রহিমা ফুডস, সাফকো স্পিনিং, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, রূপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, মেঘনা পেট, স্টাইল ক্র্যাফট, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এসইএমএল লেকচার ফান্ড ও প্রাইম টেক্সটাইল।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা হয়েছে দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৩ টাকা বা ৫৬.৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা, যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৫ টাকা ৮০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা হয়েছে ইন্দোবাংলা ফার্মার শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫২.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা হয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ফার্মার শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১ টাকা ১০ পয়সা বা ৪৫.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা এবং যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা ।

মুনাফা পাওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- ইয়াকিন পলিমারের ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৪৪.৬৬ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ১০ টাকা ৭০ পয়সা বা ৩২.০৪ শতাংশ, রহিমা ফুডসের ১৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৪.৪০ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৪.২১ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ১০ টাকা ৮০ পয়সা বা ২২.৮৩ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ২২.৮১ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবসের ১৬ টাকা ২০ পয়সা বা ২২.৫৯ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৭ টাকা ৩০ পয়সা বা ২২.২৬ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৯০ পয়সা বা ২১.৯৫ শতাংশ, মেঘনা পেটের ৪ টাকা ৫০ পয়সা বা ২১.৫৩ শতাংশ, স্টাইল ক্র্যাফটের ১০ টাকা ৮০ পয়সা বা ২১.৪৩ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪ টাকা ১০ পয়সা ২০.৮১ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ফান্ডের ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.৭২ শতাংশ এবং এবং প্রাইম টেক্সটাইলের ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.১৮ শতাংশ দর বেড়েছে।

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা এবং কিছু কোম্পানির শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরবৃদ্ধি দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের বৃহৎ অংশ এখনো লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি, তাদের মুখে হাসি ফোটেনি। ৩০-৪০ শতাংশ শেয়ার দর বাড়লেও বিগত সময়ের ব্যাপক লোকসানের পাল্লা এতই ভারী যে, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী এখনো তাদের মূলধন ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন।

তারা আশায় বুক বেঁধে আছেন, বাজারের এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং একদিন তাদের পোর্টফোলিও লোকসানের মাত্রা কাটিয়ে লাভের মুখে ফিরবে। বিনিয়োগকারীদের এই নীরব প্রত্যাশা বাজারের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে