ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর হুমকি ও আরমান বিতর্ক

২০২৫ জানুয়ারি ১০ ১৩:৫৪:০১
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর হুমকি ও আরমান বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৭ সালে চ্যানেল ফোর নিউজের এক প্রতিবেদনে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিতর্কিত এক প্রশ্নের পর বাংলাদেশে তার বাসায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তার স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন, যাতে তিনি গণমাধ্যমে কিছু না বলেন। এই ঘটনা প্রেক্ষিতে পুলিশের অভিযান এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হুমকির ঘটনা সামনে এসেছে।

চ্যানেল ফোর নিউজের ওই প্রতিবেদনে, ব্রিটিশ সাংবাদিকরা টিউলিপ সিদ্দিককে ব্যারিস্টার আরমান (মীর আহমেদ বিন কাশেম) সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, যিনি ২০১৫ সালে গুম হওয়া ছিলেন এবং ২০১৭ সালের আগস্টে এক অন্ধকার কারাগার থেকে মুক্তি পান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে টিউলিপ সিদ্দিক জানান, "আমি একজন ব্রিটিশ এমপি। আমাকে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ হিসেবে উপস্থাপন করবেন না," এবং এরপরই ওই প্রশ্নের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

চ্যানেল ফোর নিউজের রিপোর্টের কয়েক ঘণ্টা আগে, বাংলাদেশে আরমানের বাসায় নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালায়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আরমানের স্ত্রীর বিদেশি যোগাযোগের তথ্য জানতে চেয়েছিলেন এবং তাকে "চুপ থাকার" জন্য হুমকি দিয়েছিলেন। তারা ওই সময় এমনভাবে অভিযান চালিয়েছিল যেন তারা কোনও সন্ত্রাসীকে খুঁজছে।

আরমান অভিযোগ করেন যে, এই ঘটনাটি ছিল মিডিয়ার স্বাধীনতা দমনের চেষ্টা এবং বাংলাদেশ সরকারের একাধিক গোপন কার্যক্রমের অংশ। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরমান শেখ হাসিনার আমলে 'আয়না ঘর' নামের গোপন কারাগারে বন্দী ছিলেন, যেখানে তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে রাখা হয়েছিল। বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, 'আয়না ঘরের বন্দী জীবন মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল।'

এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক উঠে এসেছে। সম্প্রতি কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে, যা তিনি আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।

এছাড়া, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে, তবে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় গত মাসে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "১০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প থেকে এত বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করা সম্ভব নয়।"

ব্যারিস্টার আরমানের মুক্তির পর তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারকে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর অর্পিত দায়িত্বের যোগ্যতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়।

এই ঘটনায় সাসপেন্স সৃষ্টি হওয়া এবং টিউলিপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তার দল, লেবার পার্টি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে