ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলামের সম্পদ জব্দের আবেদন

২০২৪ জুন ২৮ ১৫:৪০:৪৮
অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলামের সম্পদ জব্দের আবেদন

প্রবাস ডেস্ক : পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনের নামে করা অবৈধ সম্পদ জব্দের জন্য অনুমতি চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটির অনুসন্ধান টিম।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুন অনুসন্ধান টিম সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন দাখিল করে, যা বর্তমানে কমিশনের পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

দুদক সূত্র বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জানিয়েছে, দুদক কমিশন অনুমতি দিলেই রফিকুল ইসলামের সম্পদ জব্দ কারা জন্য আদালতে আবেদন করা হব। এরপর আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলামের যেসব সম্পদ জব্দের অনুমতি চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জ সদরে তার নিজ নামে থাকা ৪৯ শতাংশ জমি, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ১০ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জে পাঁচ কাঠার প্লট, গোপালগঞ্জ সদরে আরো ৬৭ শতাংশ জমি, ফার্মগেটের চারতলা ভবন, শ্বশুরের নামে রাজধানীর নাখালপাড়ায় পাঁচতলা ও ছয়তলা দুটি ভবন, ভাইদের নামে প্রায় ১০ একর জমি, গোপালগঞ্জের কানাডা সুপার মার্কেট, রফিকুল ইসলামের ভাই আমিনুলের কাকরাইলের ফ্ল্যাট, আরেক ভাই দিদারুলের নামে মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাট, ভাতিজি উর্মীর নামে ধানমন্ডির ফ্ল্যাট, রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত দলিল লেখক উজ্জ্বল মামুন চৌধুরীর নামে কয়েক একর জমি, ভাতিজির স্বামীর নামে একটি বাড়ি, রফিকুলের স্ত্রীর নামে একটি জাহাজ, রফিকুলের শ্বশুরের নামে তিনটি জাহাজ এবং আরেক ভাই মনিরুলের ব্যবহৃত একটি জিপ।

রফিকুল ইসলাম তার ও অন্যদের নামে গড়া এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমাতে পারেন বলে দুদকের অনুসন্ধান টিম আশঙ্কা করছে। এজন্য অনুসন্ধান টিম এসব সম্পদ জব্দে কমিশনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। কমিশন অনুমোদন দিলে আদালতে সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সম্পদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি সংস্থাটির উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদাকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার ও মেহেদী মুসা জেবিন।

অনুসন্ধান টিম ইতোমধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ মে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর চিঠি দিয়েছে।

এই বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাবার মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন। এমনকি সরকারি জমিও গ্রহণ করেছেন। এছাড়া চাকরির প্রভাব বিস্তার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিশনের অনুমোদনক্রমে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিম সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

রফিকুল ইসলামের সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪টি জাহাজ, গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের পাশে ৬ হাজার বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট, গোপালগঞ্জ সদরে অবস্থিত ৫ কোটি টাকা মূল্যের গ্রামের বাড়ি, ঢাকা ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভবন ও নিজ নামে জমি। এছাড়া সম্পদ গড়েছেন স্ত্রী ও ভাইদের নামেও। এছাড়া তিনি মানিল্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে প্রচুর অর্থ পাচার করেছেন এবং দুবাইয়ে তার একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে