ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

পাইলট প্রশিক্ষণ নিয়ে ফাঁস হল চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০২৫ জুলাই ২১ ১৫:৪১:০০
পাইলট প্রশিক্ষণ নিয়ে ফাঁস হল চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, জনবহুল এলাকায় পাইলট বা এ ধরনের উচ্চ-রিস্ক প্রশিক্ষণ না করার সুপারিশ রয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রোটোকলে স্পষ্ট বলা আছে,“Operations in populated or congested areas could increase the likelihood of injury to persons and loss of control.”(জনবহুল বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত প্রশিক্ষণ দুর্ঘটনার আশঙ্কা এবং নিয়ন্ত্রণ হারানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।)

এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে রিস্ক-বেইজড অ্যানালাইসিস (ঝুঁকিভিত্তিক বিশ্লেষণ) করার সুপারিশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রশিক্ষণ ideally গ্রামীণ এলাকা, কম জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল, নদী ও চর এলাকায় করা উচিত, যেখানে নিরাপত্তার ঝুঁকি কম।

তবে বাংলাদেশে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অভিযোগ উঠেছে, যথাযথ ঝুঁকি বিশ্লেষণ ছাড়াই পাইলট প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছে জনবহুল এলাকাতেই। বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ ধরনের উদাসীনতা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের কথা বললেও বাস্তবে অনেক সময়ই তা মানি না। কাগজে-কলমে রুলস থাকলেও সিদ্ধান্ত অনেক সময় ঘুষ ও প্রভাবের ভিত্তিতে হয়। ফলে বাস্তবতা ও নিরাপত্তা দুটোই উপেক্ষিত থাকে।”

সরকারি কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নীতিমালা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রকাশ করেনি। এতে করে প্রতিটি ট্রেইনিং শিবির পরিচালনা প্রায় একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যা অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করছে।

বাংলাদেশে আধুনিক নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি ব্যবস্থায় পাইলট বা ড্রোন প্রশিক্ষণের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিরাপত্তা, পরিবেশগত প্রভাব এবং জনস্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও প্রশিক্ষণ নীতির অভাবও প্রকট হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই সময় একটি স্বচ্ছ, বৈজ্ঞানিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিমালা প্রণয়নের—যাতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিচালিত হয়, এবং কারও বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধা আদায়ের অভিযোগ না ওঠে।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে