ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

২০২৫ আগস্ট ১৪ ০৯:০৪:০৭
ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় দেশে শত শত কারখানা উৎপাদনে যেতে পারছে না। ব্যাংক ঋণ নিয়ে অবকাঠামো গড়ে তুললেও গ্যাসের অভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। এতে একদিকে শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের ভাষায়, "মাথায় হাত" দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে শিল্পকারখানার নতুন সংযোগ এবং লোড বৃদ্ধির জন্য বিপুল পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে আছে। শুধু তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছেই জমা পড়েছে ১,১০০টি আবেদন। এর মধ্যে ৪০০টিরও বেশি গ্রাহক সব প্রক্রিয়া শেষ করেও প্রতিশ্রুত সংযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিনিয়োগকারীরা জানান, বিদ্যুৎ দিয়ে উৎপাদন চালাতে গিয়ে তাদের ব্যয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। আবার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অনেক সময় উৎপাদন লসও গুনতে হচ্ছে। অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, কেউ কেউ লোকসানের মুখে পড়েছেন। এ অবস্থায় শ্রমিক নিয়োগেও কৃচ্ছ্রসাধন করতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

শিল্প মালিকদের দাবি, ভারী শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ অপরিহার্য। কিন্তু সংযোগ না থাকায় নতুন শিল্প স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ফলে দেশীয় শিল্পায়নের গতি কমে যাচ্ছে এবং পণ্যের ঘাটতি মেটাতে অনেক ক্ষেত্রেই আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানিয়েছে, শিল্পখাতে গ্যাস সংযোগ তিনটি ধাপে দেওয়া হবে:

প্রথম ধাপে যেসব কারখানায় ৩ দিনের মধ্যে সংযোগ দেওয়া সম্ভব।

দ্বিতীয় ধাপে যেসব ক্ষেত্রে ৩ মাসের মধ্যে সংযোগ দেওয়া যাবে।

তৃতীয় ধাপে যেসব কারখানায় ৬ মাসের মধ্যে সংযোগ দেওয়া সম্ভব।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন,"শিল্পে গ্যাসের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরও সতর্কভাবে কাজ করছি। বিতরণকারী কোম্পানিকে সরবরাহ নিশ্চিতে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার সমন্বয়ে একটি পরিদর্শন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি বিভিন্ন বিতরণ অঞ্চলের কারখানাগুলো পরিদর্শন করে চাহিদা যাচাই করছে। ইতিমধ্যে জালালাবাদ, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ অঞ্চলে পরিদর্শন শেষ হয়েছে। শিগগিরই তিতাস গ্যাসের ক্ষেত্রেও কাজ সম্পন্ন হবে। এরপরই সংযোগ কার্যক্রম শুরু হবে।

বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট, যেখানে সরবরাহ হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্প খাতেই যাচ্ছে প্রায় ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে