ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

আদালতে যা বললেন ড. কলিমুল্লাহ

২০২৫ আগস্ট ০৭ ১৭:৫৫:৪৪
আদালতে যা বললেন ড. কলিমুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

এর আগে সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে, তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন।

তিনি আদালতে বলেন,"শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন দীপু মনি আমাকে তার অন্যায় আবদার রাখতে বাধ্য করতেন।"

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন—

অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (সাবেক উপাচার্য)

অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী (আরেক সাবেক উপাচার্য)

মো. জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব)

মো. আ. সালাম বাচ্চু (ঠিকাদার)

এম এম হাবিবুর রহমান (ঠিকাদার)

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে নির্ধারিত ডিপিপি (Development Project Proposal) উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নকশা পরিবর্তন করেন।

তারা প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি চুক্তি অনুমোদন ছাড়াই সম্পাদন করেন, যা সরকারি ক্রয় বিধির লঙ্ঘন।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতের টাকা ব্যাংকে এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) আকারে রেখে, সেই এফডিআরের গ্যারান্টারে পরিণত হয়ে অভিযুক্তরা ঠিকাদারকে ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সহযোগিতা করেছেন। এর মাধ্যমে সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

নিয়ম না থাকলেও ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদান করা হয়েছে।বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন বাতিল করে নতুন প্রতিষ্ঠানকে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

টেন্ডারে অস্বাভাবিক মূল্য দাখিল (ফ্রন্ট লোডিং) সত্ত্বেও যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি।এই সমস্ত অভিযোগ সরকারি ক্রয় আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

মামলার পর দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত কলিমউল্লাহসহ পাঁচ আসামির বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

সাবেক উপাচার্যের গ্রেপ্তার ও আদালতের রায়ের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় জবাবদিহির অভাব এবং প্রশাসনের দুর্নীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে অনেকে বলছেন— এরকম একটি ঘটনায় শুধু একজন উপাচার্য নয়, ব্যবস্থাপনার গোটা কাঠামো ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে