ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

ফের ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

২০২৫ এপ্রিল ২৪ ১০:৪৩:৪৬
ফের ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) এর মধ্যে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে মোট ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করবে, যা ব্যবহার হবে দুটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পে—বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (বিটিএমআইডিপি) এবং সামাজিক সুরক্ষা জোরদার প্রকল্প (এসএসপিআইআরআইটি) বাস্তবায়নের জন্য।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ. মার্টিন স্বাক্ষর করেন।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ও আন্তর্জাতিক মানের অবকাঠামো গড়ে তুলতে নেওয়া হয়েছে বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি)। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যার সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের আয়তন ও পণ্য পরিবহনের গতি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় প্রকল্প, SSPIRIT (Strengthening Social Protection for Inclusive Resilience and Inclusive Transformation), অর্থাৎ “সামাজিক সুরক্ষা জোরদার প্রকল্প”-এর উদ্দেশ্য হলো দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নততর সহায়তার আওতায় আনা এবং সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে আরও কার্যকর ও সমন্বিত করা।

এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং অর্থ বিভাগ। প্রকল্পটি চালু হবে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় কাঠামো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মোট ব্যয় ২৪,২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

সরকারি অর্থায়ন: ৩,০০১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা

প্রকল্প ঋণ (বিশ্বব্যাংকসহ): ১৬,৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

নিজস্ব অর্থায়ন (সংশ্লিষ্ট সংস্থা): ৪,৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা

বিশ্বব্যাংকের এই বিনিয়োগ শুধু অবকাঠামো নয়, বরং দেশের দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক উন্নয়ন, বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথকে আরো মজবুত করবে। এটি বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি আর্থিক সহায়তা নয় বরং একটি আস্থা ও সহযোগিতার প্রতীকও বটে।

বিশ্বব্যাংকের এই ঋণচুক্তিগুলো দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে